ঢাকাঃ জেলা-উপজেলা ও মহানগর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সম্মেলনের মাধ্যমে কোনো কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার পর ৪৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে হবে। এটা করতে না পারলে ওই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কারণ দর্শাতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি দরখাস্ত পাঠাতে হবে কেন্দ্রে। এছাড়া কমিটি বিলুপ্ত করারও সিদ্ধান্ত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে সভায় চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সন্ধ্যা ৬টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শুরু হয় সভা। প্রথমেই সূচনা বক্তব্য রাখেন তিনি। পরে শুরু হয় মূল আলোচনা। চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।
সূত্র জানায়, সভায় দলের গঠনতন্ত্র সংশোধনীর খসড়া প্রস্তাবনা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানান, গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রতিটি প্রস্তাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে এবার গঠনতন্ত্রে খুব বেশি পরিবর্তন হচ্ছে না।
প্রস্তাবনায় আসা মহিলা শ্রমিক লীগকে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন করা নিয়ে আলোচনা হলেও স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের জাতীয় শ্রমিক লীগ তো আছেই।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী কমিটির অধিকাংশ সদস্য। এসময় সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতির সবশেষ অবস্থা দলীয় সভাপতিকে অবহিত করা হয়। দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা নিজ নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের সাংগঠনিক রিপোর্ট তুলে ধরেন সভায়।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। এই সম্মেলনের আগে এটাই কার্যনির্বাহী কমিটির শেষ সভা। ফলে অনেকের জন্য এটাই হয়তো হতে যাচ্ছে কার্যনির্বাহী সভায় শেষ অংশগ্রহণ।
রীতি অনুযায়ী- আলোচনা শেষে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক মুলতবি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন শুরুর আগ পর্যন্ত বর্তমান কমিটির কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক মুলতবি থাকবে। তবে এর মধ্যে প্রয়োজনে যে কোনো সময় মুলতবি সভা ডাকতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
বুইউ