ঢাকা: সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ পাঁচ জনের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রিমান্ডভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসেন ও ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত।
রোববার তাদেরকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ভাটারা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আবারও তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী ওয়াজেদ আলী।
অপর দিকে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে গত ৭ সেপ্টেম্বর নয় আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ভাটারা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার তাদের প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডভুক্তরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসেন, আব্দুর রব, ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, জামায়াতের কর্মী মনিরুল ইসলাম ও আব্দুল কালাম।
এরআগে সোমবার (৬ সেপ্টম্বর) রাতে ভাটারা থানায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ নয়জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করা হয়েছে ।
এরআগে সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেফতারকৃত জামায়াত নেতারা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। বৈঠকে তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। গোপন সংবাদে বৈঠকের খবর জানতে পেরে তাদের আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বৈঠক থেকে আলামত হিসেবে কিছু বই জব্দ করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।