ঢাকাঃ মিছিল, সমাবেশ ও সভা অনুষ্ঠান করা আমাদের সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক অধিকার। হেফাজতে ইসলামসহ যে কোনো সংগঠনের সংবিধান স্বীকৃত কর্মসূচির প্রতি বিএনপির সমর্থন থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একইসঙ্গে যে কোনো কর্মসূচিতে বাধা প্রদান না করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরপরও সরকার এসব কর্মসূচি বাধা প্রদান করলে এবং অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হলে সরকার দায়ী থাকবে।
শনিবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল শনিবার রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে। রবিবার সারাদেশে একই কর্মসূচি পালন করবে।
এছাড়া আগামী ২৯ মার্চ সোমবার ঢাকাসহ দেশের সকল মহানগরে এবং ৩০ মার্চ সকল বিভাগীয় শহরে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে একদিকে যখন জনগণ মহান স্বাধীনতার দিবস পালন করছে, তখন অন্যদিকে এই অবৈধ সরকার তার পুলিশ বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমা নামাজের পরে একটি সংগঠনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উসকানিতে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রায় দুই শতাধিক তরুণ মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এর প্রতিবাদে হাটহাজারীতে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপরে পুলিশের নৃশংস হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালানোয় কমপক্ষে চারজন নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছেন। একই সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া একজন নিহত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা দিবসে ৫০ বৎসর পূর্তির এই দিনে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড জাতির জীবনে এক জঘন্য কলঙ্কজনক অধ্যায়। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ গত শুক্রবারই জানিয়েছি।’
আগামীনিউজ/এএইচ