ঢাকা : করোনাভাইরাসের কারনে বুধবারের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকাল সোয়া এগারোটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা জানান।
তিনি বলেন, আগামী কাল দেশের সকল মহানগর ও জেলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু মুক্তির দাবিতে আমরা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটায় জনসমাবেশে আগত জনগণ যাতে ভাইরাসের ঝুঁকিতে না পড়েন, সেজন্য আগামীকালের সেই কর্মসূচি আমরা আপাতত: স্থগিত ঘোষণা করছি। আজ মঙ্গলবার নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম মানববন্ধন ও র্যালি কর্মসূচি পালন করার কথা। এ কর্মসূচি করোনাভাইরাসের জন্য স্থাগিত করা হলো।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের আশু আরোগ্য কামনা করছি এবং এই রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য পরম করুনাময় আল্লাহ নিকট প্রার্থনা জানাচ্ছি।
একই সাথে আমরা দল, অঙ্গ দল ও সহযোগী সংগঠন সমূহের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের এবং দেশবাসীকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান ও এই রোগ যাতে আর না ছড়ায় সে লক্ষ্যে জনসচেতনামূলক কর্মকান্ড পরিচালনার আহবান জানাচ্ছি। দু:স্থ রোগীদের সুচিকিৎসায় সহায়তা দান এবং রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সরঞ্জাম নিয়ে জনগণের পাশে থাকার জন্যও আমরা সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের গণমানুষের প্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিনা অপরাধে অনির্বাচিত সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে আবদ্ধ রয়েছেন। তিনি অসুস্থ এবং সুচিকিৎসার অভাবে ও দীর্ঘদিন বন্দী থাকার কারনে তাঁর অসুস্থতা বেড়েই চলেছে। দেশের প্রচলিত আইনে তাঁর চেয়েও কম বয়সী ও কম অসুস্থ এবং বেশি সাজাপ্রাপ্ত সরকারি দলের নেতারা জামিনে মুক্তি পেয়ে এম.পি - মন্ত্রী হয়েছে, কিন্তু দেশনেত্রীকে প্রাপ্য জামিন দেয়া হচ্ছেনা। তিনি প্রাপ্য সুবিচার থেকে বঞ্চিত। অন্তত সুচিকিৎসার জন্য হলেও অতি দ্রুত তাঁর মুক্তির জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকেও সুচিকিৎসার জন্য দেশনেত্রীর মুক্তির আবেদন করা হয়েছে।
দেশবাসী আশা করে যে, তাদের সেই আবেদন গৃহীত হবে এবং দেশনেত্রীর মত একজন বিশিষ্ট নাগরিক বিনা চিকিৎসায় নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
আগামীনিউজ/রাফি/হাসি