Dr. Neem on Daraz
Victory Day

নারী নেতৃত্ব বেড়েছে ছাত্র ইউনিয়নে


আগামী নিউজ | সিয়াম সারওয়ার জামিল: প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২০, ০৩:৫৬ পিএম
নারী নেতৃত্ব বেড়েছে ছাত্র ইউনিয়নে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নে নারী নেতৃত্ব বেড়েছে। সংগঠনটির নবগঠিত ৪১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম রোববার বিকেলে ঘোষণা করা হয়। 

ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে নির্বাচিত কমিটিতে ৫ জন নারী দায়িত্ব পেয়েছেন। এর মধ্যে একজন সহ-সভাপতি, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৩ জন সম্পাদকমণ্ডলীতে দায়িত্ব পেয়েছেন। 

এরা হলেন সহ সভাপতি সম্পা দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ঐশ্বর্য আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসমানী আশা, সমাজকল্যাণ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুনিরা দিলশাদ ইলা।

নতুন কমটিতে নারী নেতৃত্বের হার ১২ দশমিক ২ শতাংশ ।  আগের কমিটিতে নারী নেতৃত্বের হার ছিল ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সে হিসেবে অন্তত আড়াই শতাংশ নারী নেতৃত্ব বেড়েছে।

ছাত্র ইউনিয়ন গঠনতান্ত্রিকভাবেই নারী নেতৃত্ব বাড়ানোর বিষয়ে বদ্ধপরিকর বলে জানালেন ছাত্র ইউনিয়নের নতুন সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ। তিনি বলেন, আমরা সবসময়ই নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে রাখি। 

গত ১৯ নভেম্বর ছাত্র ইউনিয়নের ৪০ তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এর তিন দিন পর কাউন্সিল অধিবেশন শেষে নতুন ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সম্পা দাস। তিনি এর আগে বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন।

৫ জনের মধ্যে ৩ জনই আগের কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন মুখ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসমানী আশা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মুনিরা দিলশাদ ইলা জায়গা করে নিয়েছেন।

তারা দুজনেই আন্দোলনের পরিচিত মুখ। আশা ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনে স্লোগানকন্যার পরিচিতি পেয়েছেন। আর ইলা ডাকসু নির্বাচনে রোকেয়া হল সংসদ নির্বাচন পরবর্তী আন্দোলনের পরিচিত মুখ। 

নতুন কমিটিতে নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে আসমানী আশা বলেন, ছাত্র ইউনিয়ন প্রগতিশীল সংগঠন হিসেবে সবসময়ই নারীদের প্রাধান্য দেয়। পুরুষ মতোই আমাদেরও কাজের মূল্যায়ন হয়। এখানে নারী-পুরুষ আলাদা করে বিবেচনা করা হয় না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক নেত্রী মুনিরা দিলশাদ ইলা জানালেন, রাজনীতিতে শিক্ষিত, জনগণের হয়ে কথা বলার মানুষ দিনেদিনে অনেকটাই কমে গেছে। রাজনীতি সম্পর্কে একটা ভুল ধারণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে দেখছি, প্রতিষ্ঠানের এত সমস্যা, হলে ছাত্রীরা ভালো থাকতে পারছেন না—এসব কিছু দেখে বুঝলাম, রাজনীতি ছাড়া এই বিষয়গুলোর সমাধান সম্ভব নয়। তাই, নিজেকে রাজনীতিতে যুক্ত করেছি।

তিনি বলেন, নারী নেতৃত্ব বাড়লে নারীদের কথা বলতে সুবিধে হয়। 

এ বিষয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম বলেন, যে কোন নারীর কাছে নিরাপত্তা খুব বড় প্রশ্ন। বাম সংগঠনগুলো অপেক্ষাকৃত উদার ও প্রগতিশীল। এ কারণে যেসব নারী বুঝেশুনে রাজনীতিতে আসছেন, তাদের বড় অংশই বাম রাজনীতিতে যাচ্ছেন।

আগামীনিউজ/প্রভাত

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে