নোয়াখালীঃ জেলার সুবর্ণচরের বিভিন্ন এলাকার আমগাছের মুকুল ঝরে পড়ছে। দেখা মিলেছে সবুজ আমের গুটি। চলতি মৌসুমে স্থানীয় অনেক বাসিন্দার বাড়ির বাগান ও আঙিনার আমগাছে আশানুরূপ আমের গুটি ধরেছে। সব মিলিয়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আমের আশানুরূপ বাম্পার ফলন আশা করছেন তারা।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মুকুল ঝরে সবুজ গুটিতে ভরে উঠতে শুরু করেছে আমগাছ গুলো। ছোট আকারের আমের ভারে অনেক গাছের ডাল মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এতে গুটি আমগুলো রোগ ও পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।
কথা হয় সুবর্ণচর উপজেলার গ্লোব বাজার এলাকার আম্রকানন আম বাগানের স্বত্বাধিকারী প্রভাষক সফিকুল সাজুর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের আম্রকানন। এক থোকনায় এতগুলো আম আর কখনও দেখিনি। এ বছর কয়েকটা গাছে প্রচুর আম ধরেছে। এগুলো বিশ পঁচিশ বছর আগে আব্বার লাগানো গাছ। এ বছর তার বাড়ির প্রায় সব গাছে প্রচুর পরিমাণে মুকুল এসেছে। ফাল্গুনের শেষে সেসব মুকুল ঝরে আশানুরূপ গুটিও ধরেছে। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেনি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের ফলন ভালো হবে বলে তিনি আশা করছেন।
থানার মোড় এলাকার হাফেজ আবদুর রহমান বলেন, তার বাড়িতে নানা জাতের আম গাছ রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তার বাড়ির পুকুরের আড়ায় মুকুল ও গুটি আম বেশ ভালো আছে।
খামারী কিসলু জানান, তিনি বাড়িতে কয়েক প্রজাতির আমগাছ রোপণ করেছেন। এ বছর তার বাড়ির বাগান ও পুকুরের আড়ায় বেশ ভালো গুটি ধরেছে। এখন পর্যন্ত পোকামাকড় আক্রমণ করেনি। আবহাওয়া এমন থাকলে এ বছর আম বিক্রি করে তিনি লাভবান হবেন।
এছাড়াও সুবর্ণচর উপজেলায় বেশ কয়েকটি বাড়ির পুকুরের আড়া ও আঙিনায় আম বাগান রয়েছে। এসব বাড়ি থেকে প্রতিবছর আশানুরূপ আম উৎপাদিত হয়। এখানকার উল্লেখযোগ্য জাতের আমের মধ্যে দেশীয় জাতের আম অন্যতম।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হারুন অর রশিদ বলেন, এ বছর উপজেলার প্রায় ৯০ শতাংশ গাছে আমের ধরেছে। কিছু গাছে গুটিতে ভরে গেছে আর কয়েক দিন পর সব গাছের আম পাকা শুরু হবে। আম মৌসুমি ফল। এর ফলন নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশানুরূপ ফলন হবে বলে তিনি মনে করেন।
আগামীনিউজ/নাহিদ