Dr. Neem on Daraz
Victory Day

শ্যামাসুন্দরী খাল দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু


আগামী নিউজ | আগামীনিউজ প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২০, ০৩:১৯ পিএম
শ্যামাসুন্দরী খাল দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু

রংপুরে ১৩০ বছরের ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খালের ১৭০ জন দখলদারকে চিহ্নিত করে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। খাল দখলমুক্ত ও দুষণমুক্তকরণসহ নগরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির লক্ষে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সকাল ১১টায় রংপুর নগরীর ধাপ চেকপোস্ট থেকে এই অভিযান শুরু হয়।

উচ্ছেদ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, খালের হাল জরিপে ১৭০ জন অবৈধ দখলদারকে চিহ্নিত করা হয়। উচ্ছেদ শুরুর আগে তাদেরকে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হয়েছে। দখলদারদের অনেকে তাতে কর্ণপাত না করায় উচ্ছেদ শুরু হয়েছে।

উচ্ছেদ অভিযানের উদ্বোধন করেন রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা হাতিরঝিলের আদলে শ্যামাসুন্দরীর উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ইচ্ছা প্রকাশ করেন রসিক মেয়র। 

তিনি বলেন, রংপুর নগরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি ও আগামী প্রজন্মকে সুন্দর নগরী উপহার দিতে হলে আগে শ্যামাসুন্দরী খালকে বাঁচাতে হবে। এই খাল পুনরুজ্জীবন ও সচল হলে নগরীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় গতি আসবে। অকাল বন্যায় নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।

রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, খালের উৎস মুখ থেকে মাহিগঞ্জ পাটবাড়ি পর্যন্ত খালের দুই পাশের প্রায় ১০ কিলোমিটার সংস্কার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এর জন্য আগে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় হাল জরিপ করা হয়েছে।

রংপুর নগরীর ধাপ চেকপোস্ট থেকে অভিযান শুরু হয় মৌজাভিত্তিক কেল্লাবন্দ, রাধাবল্লভ, আলমনগর, রঘুনাথগঞ্জ ও ভগি এলাকার ১৭০ জনকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। চিহ্নিত অবৈধ দখল পুনরুদ্ধারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান ডিসি।

এসময় উচ্ছেদ অভিযানে রসিকের প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরীফ মোহাম্মদ ফয়েজুল আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ডর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, রসিকের নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা, ভূমি কমিশনার ছন্দা পালসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিটি কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

সরকার এই ঐতিহ্যবাহী খালের সংস্কার ও পুন:খননের জন্য জন্য একশ’ কোটি টাকা বাজেট দিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ১৮৯০ সালে খননকৃত শ্যামাসুন্দরী খালটি নাব্যতা ফিরে পাবে।

আগামীনিউজ/হাসি

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে