ঢাকাঃ খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সবারই কমবেশি জানা রয়েছে। এই ফলের পুষ্টি বিশ্বে সর্বাধিক প্রচলিত খাবারে পরিণত করেছে। এছাড়া খেজুরে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, শক্তি, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক। খেজুর চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা হয়, কারণ এটি চিনির মতো ক্যালোরি বৃদ্ধি করেনা। খেজুর আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি একটা ফল।
প্রতিদিনের খাবারে অল্প করে খেজুর রাখুন। এটি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করবে। খেজুর খাওয়ার উপকার জেনে নিন
১.প্রোটিনের উৎস: আপনি যদি সহজে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে চান তবে খেজুর খেতে পারেন। খেজুর প্রোটিনের একটি শক্তিশালী উৎস যা আমাদের ফিট থাকতে সহায়তা করে, এমনকি আমাদের পেশীগুলোকেও শক্তিশালী করে। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তাদের প্রতিদিনের খাবারে খেজুর রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
২.ভিটামিনের উৎস: খেজুরে আছে ভিটামিন বি ১, বি ২, বি ৩, বি ৫, এ ১ এবং সি। এটি আপনাকে সুস্থ রাখার পাশাপশি আপনার শক্তির মাত্রায়ও একটি লক্ষণীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে। কারণ খেজুরে আছে গ্লুকোজ, সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা। সুতরাং এটি প্রতিদিনের নাস্তার বিকল্প হিসেবেও রাখতে পারেন।
৩.হাড় মজবুত রাখে: আপনি যদি হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে চান তবে নিয়মিত খেজুর খেতে শুরু করুন। এটি হাড় ভালো রাখার ক্ষেত্রে বিস্ময়করভাবে কাজ করে। খেজুরে আছে সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, তামা এবং ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের হাড়কে সুস্থ রাখতে এবং অস্টিওপরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৪.স্নায়ুতন্ত্রকে ঠিক রাখে: খেজুরে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। বিশেষ করে স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এই উপাদান। এতে অল্প সোডিয়ামও থাকে যা আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে ঠিক রাখে।
৫.আয়রনের অভাব দূর করে: খেজুরে থাকা ফ্লোরিন আপনার দাঁতকে সুস্থ রাখতে কাজ করে। পাশাপাশি খেজুরে আয়রন থাকে। তাই যারা আয়রনের অভাবে ভুগছেন তাদের খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। আয়রনের অভাবজনিত কারণে রক্তস্বল্পতা, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা হতে পারে। এসব সমস্যা দূর করে খেজুর। এছাড়াও এটি রক্ত পরিশোধনের ক্ষেত্রেও কাজ করে থাকে।
৬.হজমে সহায়তা করে: আপনি যদি কয়েকটি খেজুর পানিতে ভিজিয়ে সেগুলো প্রতিদিন সকালে খান, তবে তা আপনার হজম ব্যবস্থার দ্রুত উন্নত করবে। এতে আরও আছে উচ্চ ফাইবার। যে কারণে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটা বেশ কাজের।