ঢাকাঃ সংসদ নির্বাচনে কে আসবে, কে আসবে না তা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয় বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান।
তিনি বলেন, আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ইসি আনিসুর।
নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতা এখনো হয়নি। বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীন নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। এজন্য বিএনপিসহ সমমনা বিরোধীদলগুলো সরকারের পদত্যাগের দাবিতে হরতাল, অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। অন্যদিকে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে অনড় আওয়ামী লীগ। সংঘাতময় রাজনৈতিক এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
ইসির ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার আর মাত্র এক সপ্তাহের মতো বাকি থাকলেও এখনো দাবি আদায়ে রাজপথে আন্দোলনে ব্যস্ত বিএনপি।
কুমিল্লা সার্কিট হাউসে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি আনিসুর বলেন, 'নির্বাচনে কে অংশগ্রহণ করল, কে করল না, কত ভোট পড়ল, ভোটার উপস্থিতি কেমন- এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা সংবিধান মেনে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করব।'
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। সেভাবেই তফসিল দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে আসা না আসা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। নির্বাচন থেকে পিছিয়ে যাওয়ার আমাদের সুযোগ নেই। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য আমাদের নির্বাচন দরকার। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে একটি সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। যা কারই কাম্য নয়।
সকালে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
নির্বাচন আয়োজনে চলমান হরতাল ও অবরোধ বা কোন দুর্যোগের আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখন পর্যন্ত কোনো অস্বাভাবিকতা আমরা দেখতে পাইনি। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে।'
এ সময় কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআইসি