ঢাকাঃ দেশে রাজনৈতিক অপরাধ বেড়েছে বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সামাজিক অপরাধের পাশাপাশি রাজনৈতিক অপরাধও বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানো ও আগুন দেওয়া পৃথিবীতে কোথাও কোনো ঘটনা ঘটে কিনা জানা নেই। আগুন দেওয়া ও মানুষ পোড়ানো এগুলো অপরাধ।
রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোার্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় অপরাধ সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ক্রাইম রিপোর্টিং একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিট। কারণ যখন অপরাধ বিটের সাংবাদিকরা কোনো অপরাধীর বিরুদ্ধে নিউজ করে তখন সে ক্ষেপে যায়। ক্রীড়া ও বিনোদন বিটের সাংবাদিকদের কোনো ঝুঁকি নেই। তবে পলিটিক্যাল বিটেও ঝুঁকি আছে। কখনো মঞ্চ ভেঙে যায়।
বাজার মূল্য বৃদ্ধির পেছনে মুনাফাখোররা দায়ী জানিয়ে তিনি বলেন, সংকটের কারণে সব সময় বাজার দর বাড়ে তা নয়। অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবৃদ্ধিও অপরাধ। এগুলো নিয়েও রিপোর্টিং করা দরকার। যারা মজুদ করে, দাম বাড়ায় তাদের বিরুদ্ধেও রিপোর্ট হওয়া দরকার। তবে এই রিপোর্টিংগুলো করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ যারা ব্যবসায়ী তাদেরও গণমাধ্যম রয়েছে। আর এসব বিষয়ে রিপোর্টিং করা হলে সমাজ সঠিক পথে হাঁটবে।
সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্র্যাবের ৪০ বছর হলো। আজও আপনারা ঐক্যবদ্ধ আছেন। অন্যদিকে ডিআরইউও ঐক্যবদ্ধ আছে। আপনারা কেউ বিভক্ত হননি। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হবেন না। রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়া ভালো না।
ইউটিউব ও ভূঁইফোড় পত্রিকার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং আগামীতেও এটা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভূঁইফোড় পত্রিকা ও ইউটিউবের নামে চ্যানেল পরিচয় দেওয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আজ গ্রামের মানুষ বোঝে না- জানে না কোনটা টিভি কোনটা ইউটিউব। যারা ইউটিউবে চ্যানেল খুলে নিউজ প্রকাশ করছেন এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আগামীতে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সচিবালয়ে বেশ কটি ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য এত কার্ড নেই। তাহলে এত কার্ড কেন! সকলে এটা বাতিলের পক্ষে বলেছে একমাত্র আমি বলেছি এটার পক্ষে। এখন আগের তুলনায় অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। কারণ অনেক পত্রিকার মালিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড আছে। তারা তো রিপোর্টিং করেন না তাহলে তাদের কার্ড কি দরকার। অনেকে জেলায় কাজ করেন তাদেরও কার্ড ছিল। এসব কারণ এখন কার্ড কমিয়ে আনা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ক্র্যাবের সেক্রেটারি মামুনূর রশীদ, সাবেক সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাবেক সেক্রেটারি আবুল হোসেন। এসময় ক্র্যাব নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তথ্যমন্ত্রী ক্র্যাবের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটেন। পরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
বুইউ