ঢাকাঃ এবার ঈদুল আজহায় সারা বাংলাদেশেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার (২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপিত হয়েছে। ঢাকায় আনুমানিক দুই কোটি মানুষের বাস। সেখান থেকে প্রায় এক কোটির পাশাপাশি কমবেশি হতে পারে, ঈদের তিনদিন আগে থেকে তারা নিজ গ্রামে ফিরে যান। এই কয়েক বছর ধরে যাতায়াত ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন কারণে ঘরমুখী মানুষের যে ঢল নামে সেখানে কিন্তু কোন অসুবিধা হয়নি। কোনো কোনো জায়গায় হয়তো লম্বা লাইন লেগেছে, তবে সেটি দ্রুত সমাধানও হয়েছে। আমরা বলতে পারি মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পেরেছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছে।
ঈদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মনে করি সারা বাংলাদেশেই স্বাভাবিক অবস্থা ছিল। কোনো অপ্রীতিকর বা বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ছোট-খাটো দুই একটি ঘটনা বাদ দিলে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। এর মধ্যে একটি ঘটনা আমাদের খুব নাড়া দিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ঈদের পরে শনিবার এক পুলিশ কনস্টেবলকে ছিনতাইকারীরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেছিল, রক্তক্ষরণে সে ইন্তেকাল করে রাত তিনটার সময়। আরেকজন সাংবাদিককেও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়, সেও ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছিল। এই দুইটি ঘটনা ছাড়া ঢাকায় তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। সব জায়গায়ই খুব শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে।
ঈদের পর বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক কথা বলা হয়, কার্যত কি হয় সেটি আপনারাও দেখেন। যাদেরকে জনগণ পরিত্যাগ করেছে তারা কীভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করবে সেটা আমার বোধগম্য নয়। তারা হয়তো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটাতে পারে। তারা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর চড়াও হতে পারে, গাড়ি ভাঙচুর করতে পারে। সে সমস্ত ঘটনা হয় তারা পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারেন। এ ধরনের ঘটনা ঘটালে তারা যেমন জনবিচ্ছিন্ন হবেন সেটি যেমন সত্যি, তেমনি আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অত্যন্ত দক্ষ, তারা সবসময় এটি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে পারে। জনগণ কখনই জ্বালাও পোড়াও, হত্যা পছন্দ করে না।
বুইউ