ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখা যাবে না। আমার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশবাসী প্রত্যেকেই তাদের পতিত জমিতে চাষ শুরু করেছেন। আমি নিজেও চাষ করছি। গণভবন এখন প্রায় খামার বাড়ি।
রোববার (২৫ জুন) রাতে সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সমাপনী আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সরকারি ব্যয়ের ওপর প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে জ্বালানি তেলের মূল্য অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটে ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ উন্নীত করতে হয়। সংশোধিত বাজেটে তা ২ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীতি করতে হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার জনগণের সরকার। জনগণের কল্যাণই আমাদের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে মূল্যস্ফীতিকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানা কর্মসূচির কথা তুলে ধরে তিনি বলন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চলতি অর্থবছরে এবং আগামী অর্থ বছরেও কৃচ্ছ্রসাধন করার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। কারণ এটার প্রয়োজন হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে চালের ওপর আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। রেগুলেটরি ডিউটি ২৫ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। ডিজেলের মূল্য কমাতে আগাম কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি, খোলাবাজারে বিক্রি এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। কোনো মানুষ যেন খাবারের জন্য কষ্ট না পায় সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি।
এমআইসি