ঢাকাঃ নগরপিতা বেছে নিতে আজ বুধবার (২১ জুন) ভোটযুদ্ধে নেমেছেন সিলেট ও রাজশাহী সিটির ভোটাররা। সিলেট ও রাজশাহী দুই সিটিতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ভোটারদের সুবিধার জন্য আজ এই দুই সিটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজশাহী অঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাসিকের এই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন প্রার্থী। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন, জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার ও ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম। যদিও গত ১২ জুন রাজশাহীতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম ফারুকী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
এদিকে সিলেট সিটিতে ১৯০টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৩৬৭টি ভোটকক্ষে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং ছয়জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
ওই সিটিতে মেয়র পদে আটজন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়রপ্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টির মো. জরিহুল আলম, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহজাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান জানান, সব নির্বাচনই আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জের। সব নির্বাচন থেকে অভিজ্ঞতা নিচ্ছি, ভোটারদের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী বিধি-বিধান প্রতিপালন নিশ্চিত করতে আমাদের অবস্থান ছিল কঠোর। আগের মতো রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনের প্রতিটি পদক্ষেপেই আমরা সুতীক্ষ্ণ নজর রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা সরাসরি সিসি ক্যামেরায় এ নির্বাচন ঢাকা থেকে পর্যবেক্ষণ করবো। নির্বাচন পূর্ব, ভোটের দিন ও নির্বাচনোত্তর অনিয়ম, গোলযোগ ও সহিংসতা যেন না ঘটে সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আচরণবিধি প্রতিপালনে স্থানীয়ভাবে বেশ কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযোগ খতিয়ে দেখে সিলেটে একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করা হয়েছে।
এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ব্যাপারে প্রশাসন, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আমরা সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করেছি। নির্বাচনী প্রচারণায় অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলা করলে কোনো ধরনের ছাড় দেইনি।
বুইউ