ঢাকাঃ বাংলাদেশকে মৎস্য খাতে ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) জেনেভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সফরকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলা।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, তারা এই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে এক চুক্তি সই করতে চায়।
পররাষ্ট্র মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য খাতে খুব একটা ভর্তুকি দেয় না। আমরা বলেছি আমরা এটি বিবেচনা করবো।
কয়েকটি বড় দেশের কারণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ‘ডিসপিউট স্যাটেলমেন্ট বডি’ গত কয়েক বছর ধরে নিস্ক্রিয় বলে জানিয়েছেন এর মহাপরিচালক।
ওকোনজো-ইওয়েলা বলেন, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ তে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে কথা বলেন তিনি (শেখ হাসিনা) এই ‘ডিসপিউট স্যাটেলমেন্ট বডি’ সক্রিয় করার বিষয়ে কথা বলতে পারেন।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, এই ‘ডিসপিউট স্যাটেলমেন্ট বডি’ সংস্থাটির মূল শক্তি।
ওকোনজো-ইওয়েলা বাংলাদেশকে রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ দেন। রপ্তানি ক্ষেত্রে তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ওষুধ এবং আইটি সেক্টরে গুরুত্ব দিতে বলেন তিনি।
গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই সেক্টরে বাংলাদেশের সক্ষমতার অভাব রয়েছে।
এ বিষয়ে জাপান, থাইল্যান্ড এবং মালদ্বীপের থেকে বিশেষ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি ইতোমধ্যে জাপান এবং মালদ্বীপের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এর আগে একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কাতারের শ্রমমন্ত্রী আলী বিন সামিক আল মারি।
আল বিন সামিক বলেন, তাদের দেশে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি জনশক্তি কাজ করছে। এসব জনশক্তির কাজে তারা সন্তুষ্ট।
কাতারের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে তারা আগ্রহী। এ বিষয়ে তারা একটি চুক্তি করবে।
এছাড়া একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রফেসর ক্লাউস সোয়াব।
এমআইসি