ঢাকাঃ শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দারিদ্র্য অন্যতম বাধা বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউনিসেফের উদ্যোগে শিশু সুরক্ষায় প্রথম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম একটি নিয়মিত কর্মসূচি হিসেবে চালু করা যেতে পারে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা যেতে পারে। আমাদের সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে শিশু সুরক্ষায় একত্রে কাজ করতে বদ্ধ পরিকর।’
শিশুদের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিশুদের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে হবে।’
‘বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক ১৮ বছরের নিচে। আর পাঁচ বছরের নিচে শিশুর সংখ্যা দুই কোটির বেশি। সরকারসহ উন্নয়ন সংস্থাগুলো এসব শিশুদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সংক্ষিপ্ত সময়ে শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সংবিধানের কয়েকটি ধারায় শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।’
শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে দারিদ্র্য অন্যতম বাধা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশল প্রণয়ন করেছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সরকার এক কোটিরও বেশি মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। শিশুরাও এসব কর্মসূচির উপকারভোগী। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করেছি। ৯৮ শতাংশ স্কুলগামী শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা গেছে। এছাড়া শিশু মৃত্যুহার ও মাতৃ-মৃত্যুহার কমিয়ে আনা হয়েছে। নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সারাদেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে।’
থানায় চাইল্ড হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার ২০১৬ সালে শিশু হেল্প লাইন ১০৯৮ চালু করেছে। এই হেল্প লাইন ১০ লাখেরও বেশি শিশু ও তাদের পরিবারের কথা শুনেছে। থানাগুলো শিশু বান্ধব করার লক্ষ্যে চাইল্ড হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এক সময় শিশুশ্রম বাংলাদেশে অনেক বড় সমস্যা ছিল। আমাদের দেশে শিশুশ্রম উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা হয়েছে। রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প এখন শিশুশ্রম মুক্ত।’
এমবুইউ