ঢাকাঃ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ গুলিতে নিহত বাংলাদেশিরা সবাই অপরাধী বলে মন্তব্য করেছেন বিএসএফ মহাপরিচালক (ডিজি) পঙ্কজ কুমার সিং। তার দাবি, নিহতদের সবাই মাদক কারবারি, চোরাকারবারি। আর প্রত্যেকটা গুলির ঘটনাই রাতে ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে পিলখানায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ে ৫২তম সীমান্ত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সীমান্তে যাদের হত্যা করা হয়েছে কিসের ভিত্তিতে তাদের অপরাধী বলছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, জুডিশিয়ালি সিস্টেম কিংবা কোনো অপরাধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কাউকে অপরাধী বলতে পারি না। আমরা প্রচলিত পদ্ধতিতে শুধু অপরাধী বলতে পারি না।
তিনি বলেন, আমাদের উভয় দেশের সীমান্তবর্তী দুই এলাকাতেই ভালো-মন্দ, খারাপ-ভালো মানুষ আছেন। তাদের কারণে সীমান্তে অপরাধ সংঘটিত হয়, চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশের মতো ঘটনা ঘটছে। গরু পাচার, শিশু ও নারী পাচারের ক্ষেত্রে অপরাধী সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ করেন।
তিনি বলেন, ডিএমপি, কলকাতা পুলিশ ও সীমান্তে গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কথা বলে আমরা অপরাধীদের তথ্য বিনিময় করে তাদেরকে (সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত) অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করি। সীমান্তে যাবতীয় অপরাধ দুই দেশের মাফিয়ারা নিয়ন্ত্রণ করেন।
পঙ্কজ কুমার সিং বলেন, শিশু ও নারী পাচারের সঙ্গে জড়িতরাই সীমান্ত অতিক্রম করেন। এখন পর্যন্ত সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও চোরাকারবারি ঠেকাতে ৮৯ জন বিএসএফ সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে আমরা মারণাস্ত্র নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার শুরু করেছি। বিজিবির সঙ্গে আমাদের আগের চেয়ে সম্পর্ক ভালো। সীমান্ত সুরক্ষায় আমরা একসঙ্গে কাজ করবো।
প্রতিবার সীমান্ত সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধে আলোচনা হয়, কিন্তু হত্যা বন্ধ হচ্ছে না। গত জুন মাসেও সীমান্তে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছে। সীমান্তে হত্যা কেন শূন্যের কোঠায় নামছে না?- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ভিন্ন। পশ্চিমা দেশগুলোর চাইতে আলাদা। আমদের মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা পর্যায়ে সীমান্তের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। দুই দেশেই ভালো-মন্দ মানুষ আছে। সীমান্তে মন্দ লোকেরাই নিহত হয়েছেন। যারা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
এমবুইউ