ঢাকাঃ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এই ডেল্টা প্ল্যান বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ এছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে, বিশেষ করে কানেক্টিভিটি, বাণিজ্য সুবিধা এবং জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে এডিবি’র সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার (৯ মে) এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট শিক্সিন চেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতে গেলে এ সহযোগিতা চান। সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'প্রায় দুই বছর পর দেশের মানুষ মুক্তভাবে ঈদ উদযাপন করেছে।' করোনা মহামারির সময় সহায়তার জন্য এডিবি’র প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই উত্তোরণকাল মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।’
বাংলাদেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা এবং ভূমিহীন ও গৃহহীনদের অধিকতর ভালো জীবন নিশ্চিত করতে আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জমিসহ ঘর দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'তাদের জীবনমান উন্নত হয়েছে।'
এসময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে খাদ্য অভাবের আশঙ্কা প্রকাশ করেন এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার আরও বেশি খাদ্য উৎপাদনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক কানেকটিভিটি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কানেক্টিভিটির উন্নয়নে বাংলাদেশের দরজা উন্মুক্ত।’ এ প্রসঙ্গে ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পর বন্ধ হওয়া কয়েকটি রুট পুনরায় চালুর কথা উল্লেখ করেন তিনি।
করোনা মহামারি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট শিক্সিন চেন। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে এবং ৭ শতাংশ জিডিপি অর্জন করবে বলে আশা করেন।
তিনি বলেন, এডিবি সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং গ্রাম ও নগর উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।
স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ প্রসঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের এই সময়টা সাধারণ ক্রিটিক্যাল। বাংলাদেশ ভালো করছে।
কৃষি সেক্টরে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি করেছে।
বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই অর্থনৈতিক জোনগুলো অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা পূরণ করবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্পাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, এডিবি ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (সাউথ এশিয়ান ডিপার্টমেন্ট) মনমোহন প্রকাশ এবং বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং প্রমুখ।
এমএম