ঢাকা: দশম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৩ ডিসেম্বর সারাদেশের ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে।
বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে কমিশনের বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তফসিল ঘোষণা করেন ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের ৮৯তম কমিশন বৈঠক শেষে এই তফসিল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর জানান, নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী- ইউপি চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে নির্বাচন করতে আগ্রহীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২৯ নভেম্বর।
তফসিলের তথ্য বলছে, এরপর ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাছাইয়ে বৈধ প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হলে ৬ ডিসেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। দুই সপ্তাহের প্রচার-প্রচারণা শেষে ২৩ ডিসেম্বর ভোট নেওয়া হবে।
নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, এনআইডি ডিজি এ কে এম হুমায়ুন কবীর, যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান ও জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, এরই মধ্যে তিন ধাপে মোট ২ হাজার ২২০টি ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। এর মধ্যে প্রথম ধাপে গত ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর দুই দফায় ৩৬৯ ইউপিতে ভোট নেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউপিতে ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হলেও আগামীকাল ১১ নভেম্বর ভোট হচ্ছে ৮৩৬ ইউপিতে। আর তৃতীয় ধাপে ১ হাজার ৩ ইউপিতে আগামী ২৮ নভেম্বর ভোট নেওয়া হবে।
বর্তমানে সারাদেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় চার হাজার ইউপিতে ভোট করা যাবে। মামলা জটিলতার কারণে বেশকিছু ইউপিতে ভোটগ্রহণ আটকে আছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৯ বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭৩ সালে প্রথম ইউপি নির্বাচন এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালে নবম ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ১৯৭৭, ১৯৮৩, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০৩ ও ২০১১ সালে ইউপি নির্বাচন হয়েছে। চলতি ২০২১ সালে জুনে শুরু হয়েছে দশম ইউপি নির্বাচন।
আগামীনিউজ/শরিফ