ঢাকাঃ এক বছরের ব্যবধানে ইন্তেকাল করেছেন দুই আমির ও মহাসচিব। আল্লামা শফীর পর গত বৃহস্পতিবার ( ১৯ আগস্ট) দুপুরে ইন্তেকাল করেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। ওই দিন রাতে তাকে হাটহাজারী মাদরাসায় দাফনের আগে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরীকে ভারপ্রাপ্ত আমির করা হয়। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হতে পারে হেফাজতে ইসলামের শূরা বৈঠক। ওই বৈঠকেই নির্ধারণ হবে হেফাজতে ইসলামের পরবর্তী নেতৃত্ব।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের তিন শীর্ষ নেতা ইন্তেকাল করেছেন। এটি অবশ্যই অপূরণীয় ক্ষতি। তবে এ শূন্যতার কারণে হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম থেমে থাকবে না। যারা বেঁচে আছেন তাদের নিয়েই হেফাজতে ইসলামের ইমানি কার্যক্রম চলবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের শূরা সদস্যদের মতামত নিয়েই আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরীকে আমির ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী কাউন্সিল পর্যন্ত তিনি হেফাজতে ইসলামের পূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন।’
জানা যায়, ১৩ দফা দাবি নিয়ে দেশ-বিদেশে আলোচনায় আসে হেফাজতে ইসলাম। নানা ইস্যুতে কর্মসূচি দিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন আল্লামা আহমদ শফী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং আল্লামা নূর হোসেন কাসেমী। গত এক বছরের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে কওমি সমাজে গ্রহণযোগ্য তিন নেতার। ফলে এ সংগঠনে সৃষ্টি হয়েছে নেতৃত্বশূন্যতা।
গত বৃহস্পতিবার আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যুর পর সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরীকে ভারপ্রাপ্ত আমির ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী কাউন্সিল পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামের আমিরের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব নির্ধারণের জন্য শূরা কমিটির মিটিং অনুষ্ঠিত হবে।
ওই মিটিংয়ে নতুন আমির নিযুক্ত হতে পারেন বেফাক চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান কিংবা হেফাজতে ইসলামের বর্তমান নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী কিংবা আতাউল্লা হাফেজ্জীর মধ্য থেকে কেউ। মহাসচিব থেকে যেতে পারেন মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী কিংবা দায়িত্ব পেতে পারেন যুগ্ম মহাসচিব সাজেদুর রহমান।