ঢাকাঃ কোভিড পরবর্তী সময়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিকে গতিশীল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে শেষ হয়েছে সচিব সভা। একইসঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজও সুন্দরভাবে যাতে শেষ করা হয় সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
গত চার বছর পর বুধবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর শেরে বাংলানগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত যে স্বাধীনতা তা যেন কোনো ভাবেই ব্যর্থ না হয়। আমরা এ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব, উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। ইতোমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমাদের ভবিষ্যতে আরো অনেক দূর যেতে হবে এবং সেই পরিকল্পনাও আমরা নিয়েছি। যেমন পরিকল্পিত পরিকল্পনা বা ডেল্টা প্ল্যান। সেগুলো মাথায় রেখেই আমাদের উন্নয়নের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন যাতে যথাযথভাবে হয়।
তিনি বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য যে, একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষগুলো তারা যেনও উন্নত জীবন পায়, দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি পায়। অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষার সুযোগটা পায়। বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেভাবেই যেন এগিয়ে যেতে পারে। সেভাবেই আমাদের কার্যক্রম চালাতে হবে এবং তার ভিত্তি আমরা তৈরি করেছি। যেটা ধরেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
সরকারের নির্বাহী প্রধানের সঙ্গে সচিবদের এ বৈঠক চার বছর পর অনুষ্ঠিত হলো। এর আগে ২০১৭ সালের ২ জুলাই সবশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছিল সচিব সভা। এরপর গত ৪ জুলাই চার বছর পর সচিব সভা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ওই সভা স্থগিত করা হয়।
চলতি বছর করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর নতুন করে সচিব সভা অনুষ্ঠিত হলো।
সচিবদের নিয়ে প্রতি বছর একটি বিশেষ সভা করেন সরকারপ্রধান। সচিব সভা করার এ রীতি প্রতি বছরই পালিত হয়। তবে কোনো কোনো বছর সরকারপ্রধান উপস্থিত না থাকলেও সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই যখন সচিব সভার তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল তখন তার এজেন্ডা ছিল- খাদ্য নিরাপত্তা, করোনাকালে অর্থনীতি সুসংহত রাখা, সরকারি খাতের আর্থিক বিধিবিধান কঠোরভাবে অনুসরণ, প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা রাখা, ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।