Dr. Neem on Daraz
Victory Day

যাতায়াত ছিল এমন করো তালিকা হচ্ছে না: ডিএমপি কমিশনার


আগামী নিউজ | নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১, ০৯:৩৪ এএম
যাতায়াত ছিল এমন করো তালিকা হচ্ছে না: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা: ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, চিত্রনায়িকা পরীমণি, ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌর বাসায় যাতায়াত ছিল এমন ব্যবসায়ী বা ব্যক্তিদের কোনো তালিকা করা হচ্ছে না। বরং এই তালিকার কথা বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হওয়া কথিত মডেলদের সঙ্গে সমাজের বিশিষ্টজনের নাম জড়িয়ে চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র।

গতকাল দুপুরে ডিএমপি সদর দফতরে নিজ কার্যালয়ে একাধিক দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) কৃষ্ণপদ রায় ও ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মডেল ইস্যুতে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন ব্যক্তিদের তালিকার কথা বলে একটি চক্র চাঁদাবাজিতে নেমেছে। চক্রটি সমাজের বিশিষ্টজনদের কাছে ফোনে তালিকার তাদের নাম থাকার কথা বলে চাঁদা দাবি করছে। এখন পর্যন্ত তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এই ধরনের চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছে।

তারা ফোনে জানিয়েছেন- তারা আতঙ্কিত। লোকলজ্জার ভয়ে গুলশানের আতঙ্কিত একজন ব্যবসায়ী পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন। এ ছাড়া একজন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চেয়ে চিঠি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। চাঁদা না দিলে গণমাধ্যমে পরীমণি, ফারিয়া মাহবুব ও মরিয়মের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যক্তির ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগীরা এসব চাঁদাবাজের বিষয়ে তথ্য দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। তিনি চাঁদাবাজদের কল রেকর্ড করতে ভুক্তভোগীদের পরামর্শ দেন। এসব কল রেকর্ড পরে পুলিশের কাছে জমা দিতে বলেন। পাশাপাশি এই চাঁদাবাজদের বিষয়ে স্থানীয় থানা বা ডিএমপিকে তথ্য জানানোর অনুরোধ জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, কারও সঙ্গে সম্পর্ক থাকা তো বেআইনি নয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত এ বিষয়ে মামলা না হয়। চক্রটি কথিত ভিডিওর কথা তাদের বিশিষ্টজনদের ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পুলিশ এ ধরনের কোনো তালিকা করেনি। এমন তালিকার কথা বলে যারা বাণিজ্যে নেমেছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

আমরা চাই না করোনাকালে এমন আতঙ্ক ছড়াক এবং বিনা কারণে কারো সম্মানহানি হোক। কেউ যাতে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার না হন সে জন্য সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। যারা ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু আইনে মামলা হয়েছে। সেই মামলাগুলোই তদন্ত করছে পুলিশ।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে