ঢাকাঃ অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদায়ী নারীদের করোনা টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাদের টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, গর্ভবতী নারীদের সুরক্ষা ওয়েব পোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে শুধু হাসপাতালবিশিষ্ট সরকারি টিকাকেন্দ্রে কোভিড-১৯ টিকা দিতে হবে। কেন্দ্রের রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের কাউন্সেলিং সম্পন্ন সাপেক্ষে গর্ভবতী নারীকে টিকা দিতে হবে।
বলা হয়েছে, গর্ভবতী নারী অসুস্থ থাকলে তাকে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে না। অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীকে টিকা দেয়া যাবে না। কোনো গর্ভবতী নারীর ভ্যাকসিন অ্যালার্জির পূর্ব ইতিহাস থাকলে তাকে করোনার টিকা দেয়া যাবে না।
‘কোনো গর্ভবতী নারী যদি কোডিড-১৯ ভ্যাকসিনের ১ম ডোজ নেয়ার পর এইএফআই কেস হিসেবে শনাক্ত হন তবে তাকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে না।’
গত ২ আগস্ট অন্তঃসত্ত্বা নারী ও স্তন্যদায়ী মায়েদের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণে কোনো বাধা নেই এবং তাদেরকে টিকা দেয়া যেতে পারে বলে সুপারিশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় টিকা পরামর্শক কমিটি।
এই কমিটির সদস্য ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘আমরা মতামত দিয়েছি যে তাদেরকে টিকা দেয়া যেতে পারে।’ বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে এই সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের জাতীয় ফোরাম অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গায়নিকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ-ওজিএসবি বেশ কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গর্ভবতী মা এবং যারা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান তাদের টিকার আওতায় আনার আবেদন করে।
সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এ বিষয়ে আলোচনায় বসে জাতীয় টিকা পরামর্শক কমিটি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে গর্ভবতী মায়েরা টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে টিকার বিরূপ প্রতিক্রিয়াও মূল্যায়ন করা হয়েছে। গর্ভবতী নারীদের টিকা দেয়ার যে ঝুঁকি তা অন্যদের তুলনায় বেশি নয়। আর এজন্যই তাদেরকে টিকা দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।