ঢাকাঃ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিতে পারছেন। ফেরি সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি গণপরিবহন চালু করার কারণে ভোগান্তি কমেছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। তবে ফেরিঘাট পর্যন্ত আসতে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
আজ রবিবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়, ফেরিঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের যাত্রীবাহী বাসের কোনো সিরিয়াল নেই। তবে শনিবার রাতে বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক পার হওয়ার কারণে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে পারাপারের অপেক্ষায় ছিল ২ শতাধিক যান।
ফেরিঘাটে আসা যাত্রী মো. শরিফুল হক বলেন, বিধিনিষেধ নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তগুলো ভুল ছিল। যে কারণে পথে পথে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত যে দূরপাল্লার বাস চলাচলের কথা সেই সিদ্ধান্ত আরেকটি ভুল। একটি দূরপাল্লার বাস রাস্তায় নামাতে বেশ সময় লাগে। সেই কারণে দূরপাল্লার অনেক বাস রাস্তায় নামেনি। যাত্রীদের ভরসা শুধুই নসিমন, করিমন, ট্রাক, মাহেন্দ্র, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক। তবে এখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব নয়।
ফেরিঘাটে আসা কোহিনুর পরিবহনের চালক ইব্রাহিম বলেন, একদিনের সিদ্ধান্তে মহাসড়কে বাস নামানো কঠির ব্যাপার। অনেক মালিক দ্রুত সিদ্ধান্তে মহাসড়কে বাস চালাবেন না।
কুষ্টিয়া থেকে আসা যাত্রী মো.আবুল মিয়া বলেন, করোনাকালে ফেরিঘাট এলাকায় ভোগান্তি বেড়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে একমাত্র মোটরবাইক ছিলে তুলনামূলক সস্তা যানবাহন। কুষ্টিয়া থেকে গোয়ালন্দ মোড় যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় প্রশাসনের লোকজন গাড়ি আটকায়। বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে। মোটরসাইকেল চালকেরা গাড়ি এখন আর ফেরিঘাটে যেতে চায়না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া নদী বন্দরের ম্যানেজার মো.জামাল হোসেন বলেন, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীর চাপ কমে এসেছে।