ঢাকাঃ ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০১৯’ এর জন্য ১০টি শ্রেণিতে ১৪ জন ব্যক্তি ও ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে সরকার।
রোববার (৬ জুন) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় এ মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়।
যেসব প্রতিষ্ঠান পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে
‘প্রাথমিক বিদ্যালয়/উচ্চ বিদ্যালয়/এবতাদায়ি মাদ্রাসা/ সিনিয়র মাদ্রাসা’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে মনোনীত-ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন, সাতক্ষীরার কাজী মফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, নরসিংদী এবং শিয়ালী তালেমুন কুরআন নুরানি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা পটুয়াখালী।
‘কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে মনোনীত- মৌকরণ বি, এল, পি ডিগ্রি কলেজ, মৌকরণ, পটুয়াখালী, আছমতআলী খান কলেজ, লাউকাঠী, পটুয়াখালী এবং আলহাজ মোল্লা জালাল উদ্দিন কলেজ, খুলনা।
‘ইউনিয়ন পরিষদ/উপজেলা পরিষদ/জেলা পরিষদ/পৌরসভা/সিটি করপোরেশন’ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে মনোনীত-উপজেলা পরিষদ, রামপাল, বাগেরহাট এবং ঈশ্বরদী পৌরসভা, পাবনা মনোনীত হয়।
‘অধিদফতর/পরিদফতর/সেক্টর করপোরেশন/প্রতিষ্ঠান’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে আর.আর.এফ, খুলনা, বাংলাদেশ পানি উন্নয় বোর্ড, পটুয়াখালী এবং কেরানীগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইটাভাড়া, ঢাকা মনোনীত হয়েছে।
‘এনজিও/ক্লাব/স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা’ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে বনায়ন, জগতি, কুষ্টিয়া এবং বাংলাদেশ স্কাউটস, পঞ্চগড় মনোনীত হয়েছে।
‘বন বিভাগ কর্তৃক সৃজিত বাগান’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে সামাজিক বন বিভাগ, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর, সামাজিক বন বিভাগ, যশোর (এসএফএনটিসি) সাতক্ষীরা এবং কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগ, কচ্ছপিয়া বিট, বাঘখালী রেঞ্জ মনোনীত করা হয়।
যে ব্যক্তিরা মনোনয়ন পেয়েছেন
‘ব্যক্তিগত পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ’ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে- উনুচিং মারমা, খাগড়াছড়ি, পারভীন সিরাজ, মুন্সীগঞ্জ এবং তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যৌথভাবে ইসাক আহমেদ, নাটোর এবং মো. মেহেদী হাসান কবির, বড়লেখা, মৌলভীবাজার মনোনীত হয়েছেন।
‘ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারি’ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে— উত্তরা ভাই ভাই নার্সারি, প্রোপ্রাইটার হেলেনা আক্তার হেনা, সাভার, ঢাকা, ফতেয়াবাদ নার্সারি, মালিক রুজিনা ইয়াসমিন, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম এবং তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যৌথভাবে বৃক্ষবন্ধু নার্সারি, মালিক নিলু বেগম, মৌলভীবাজার এবং সততা নার্সারি, অঞ্জনা রানী পাল, খুলনা মনোনীত হয়েছেন।
‘বাড়ির ছাদে বাগান সৃজন’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে— নাহিদা বারিক, কলাবাগান, ঢাকা, রাখী দে, দিনাজপুর সদর এবং ওয়াহিদা ইয়াসমিন, বেতিয়াপাড়া রাজশাহী মনোনীত হয়েছেন।
‘বৃক্ষ গবেষণা/সংরক্ষণ/উদ্ভাবন’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য ড. মো. আব্দুল হাকিম মণ্ডল, রাজবাড়ী, মো. মোকাম্মেল হক খান, চট্টগ্রাম এবং হৃদয় চন্দন দেবনাথ, মৌলভীবাজার মনোনীত হয়েছেন।
সভায় বনমন্ত্রী বলেন, দেশে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বৃক্ষরোপণ করে প্রশংসনীয় কাজ করে চলেছেন। সরকার গত অর্থবছর দেশে আট কোটির অধিক বৃক্ষ রোপণ করেছে। এবারও আট কোটির বেশি বৃক্ষরোপণ করা হবে। সরকারের পাশাপশি ব্যক্তি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহ এগিয়ে এলে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযানের এবারের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি’ বাস্তবে রূপ দিতে পারব।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।