ঢাকাঃ দেশের বাজারে হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রথমবারের মতো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে তেঁতুলের বিচি আমদানি হচ্ছে। গতকাল শনিবার বিকেলে এক চালানে ভারত থেকে ৯০ টন তেঁতুলের বিচিবাহী ৩টি ট্রাক হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। কয়েকদিন আগেও তেঁতুলের বিচির আরো দুটি চালান দেশে ঢুকেছে।
তৃতীয় চালানের এই বিচিগুলো চট্টগ্রামের উজ্জ্বল শাহ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান তেঁতুলের বিচি আমদানি করেছে। হিলি স্থলবন্দর থেকে এর খালাস কার্যক্রম সম্পন্ন করতে আমদানিকারকের পক্ষে নিয়োজিত রয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের যমুনা ট্রেডিং কর্পোরেশন নামের সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট।
জানা গেছে, প্রতিটন তেঁতুলের বিচি ২শ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে, সেই মূল্যেই কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুল্কায়ন করছে, এতে করে টনপ্রতি ১ হাজার ৬শ টাকা হারে শুল্ক প্রদান করতে হচ্ছে।
আমদানিকারক মনোনীত সিআ্যন্ডএফ এজেন্টে অনিক সরকার জানান, গতকাল হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চট্টগ্রামের উজ্জল শাহ নামের আমদানিকারকের ৩টি ট্রাকে ৯০ টন তেঁতুলের বিচি আমদানি করা হয়েছে। আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হিসেবে আমি বন্দর থেকে তেঁতুলের বিচি খালাসের কাজ সম্পন্ন করছি। গতকাল বন্দরে যেসব তেতুলের বিচি প্রবেশ করেছে আজ রবিবার বিকেলে অথবা আগামীকাল সকালে আরোপিত শুল্ক পরিশোধ পূর্বক আমদানিকারকের নিকট এসব তেঁতুলের বিচি সরবরাহ করা হবে।
তেঁতুলের বিচির চাহিদা বাড়লো কেন?
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মশা মারার কয়েল তৈরির কাঁচামাল ও শাড়িতে ব্যবহৃত রঙয়ের কাচামাল হিসেবে এই তেতুলের বিচি ব্যবহৃত হয়। দেশে বর্তমানে মশার উপদ্রুপ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক হারে মশা মারার কয়েল বিক্রি হচ্ছে। এতে করে দেশের বাজারে কয়েল তৈরির কাঁচামাল তেতুলের বিচির বেশ ভালো চাহীদা ও দাম ভালো থাকায় ভারত থেকে তেঁতুলের বিচি আমদানি করা হচ্ছে। আমদানিকৃত এসব তেঁতুলের বিচি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল,গম, ভুট্টা, পাথর পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি হলেও এই প্রথম বন্দর দিয়ে তেতুলের বিচি আমদানি হচ্ছে। গতকাল শনিবার ভারত থেকে ৩টি ট্রাকে ৯০ মেট্রিকটন তেঁতুলের বিচি আমদানি করা হয়েছে। তেতুলের বিচিগুলো বন্দরের ১নং ওয়্যার হাউজে রাখা হয়েছে, কাস্টমসের প্রক্রিয়া শেষে শুল্ক পরিশোধ পূর্বক এসব তেঁতুলের বিচি ছাড়করণ দেওয়া হবে।
আগামীনিউজ/প্রভাত