ঢাকাঃ জানা গেছে, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনওর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ওয়াহিদা খানম অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি ওয়াহিদা খানম। ঐ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত ছিল মাদক চোরাচালানের নিরাপদ রুট। কিন্তু ইউএনও তৎপরতায় মাদক ব্যবসায়ীরা বিশেষ সুবিধা করতে পারছিল না। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াহিদা খানমের প্রতি ক্ষুব্ধ মাদক ব্যবসায়ীরা।
এদিকে করোনা মহামারিতে তার এলাকায় ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। অভিযান চালিয়ে সেসব ত্রাণ উদ্ধার ও অভিযুক্তদের বরখাস্ত করেন ইউএনও ওয়াহিদা খানম। এ কারণে তার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন বরখাস্ত ও ত্রাণ আত্মসাতে জড়িতরা। এই ত্রিমুখী ক্ষোভের কারণেই ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে ধারণা ঘোড়াঘাটের সচেতন নাগরিকদের।
আরও জানা গেছে, ঘোড়াঘাটে জমি দখল, বাড়িঘর ভাঙচুর, চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে বালু তোলাসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছেন ওয়াহিদা খানম। এসব অপরাধে জড়িত কয়েকজন চিহ্নিত ব্যক্তি নিয়মিত হুমকি দিত ইউএনওকে। তারাও হামলার ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।
বুধবার রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুই দুর্বৃত্ত। ওই সময় বাসার নৈশপ্রহরীকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ইউএনওকে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। এমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার রাতে তার অস্ত্রপচার হওয়ার কথা। সূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ।
আগামীনিউজ