ঢাকাঃ মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে আজ বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) জেরা করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে না পারায় দুই দফায় প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে চতুর্থ দফায় রিমান্ড শেষে প্রদীপকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১৫ দিনের রিমান্ডেও খুব বেশি মুখ খোলেননি প্রদীপ।
গতকাল মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে র্যাবের একটি দল প্রদীপকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে আসে। এর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আদালত চত্বর থেকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা কারাগারে। সোমবার চতুর্থ দফায় তাকে এক দিনের রিমান্ডে নেয় র্যাব।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম জানান, ১৫ দিনের রিমান্ডেও সাবেক ওসি প্রদীপ স্বীকারোক্তি দেননি। ১৫ দিনের পর আর রিমান্ড চাওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। তাই নিয়ম মতে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, স্বীকারোক্তি না দিলেও ওসি প্রদীপ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তার দেওয়া এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে। মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে এসব বিষয় উল্লেখ করা হবে।
সূত্র জানায়, এর আগে তৃতীয় দফায় ১৪ দিন রিমান্ডে থাকার সময়ে ওসি প্রদীপ নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন। পরে সোমবার ফের একদিনের জন্য রিমান্ডে নেন তদন্ত কর্মকর্তা। চতুর্থ দফায়ও স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হননি প্রদীপ কুমার। তবে মামলার প্রধান আসামি এসআই লিয়াকত ও এএসআই নন্দ দুলাল, এপিবিএনের তিন সদস্যসহ ৫ আসামি এ পর্যন্ত ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, 'আসামি প্রদীপ কুমার দাশের সাক্ষাৎ না পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হয়নি। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। বুধবার কারাগারে গিয়ে প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তদন্ত কমিটি।'
তিনি বলেন, 'ওসি প্রদীপ এই মামলার অন্যতম আসামি। ঘটনার তদন্তে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে এই ঘটনায় তার সংশ্নিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছি। এসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সত্যতা জানার চেষ্টা করা হবে। তার কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া যাবে তা বিশ্লেষণ করতে দু'একদিন সময় লাগবে। আশা করছি বর্ধিত সময় আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের আগেই প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।'
আগামীনিউজ/এএইচ