ঢাকা: কখনও সকালে, কখনও বিকালে আকাশ কালো করে আসা মেঘ, মাঝে মাঝে ঝড়ো বাতাসের মাতামাতি, সাথে খেয়ালি প্রকৃতি ইচ্ছেমত ঝরাচ্ছে বৃষ্টি। তবে কেবল বৃষ্টিই হচ্ছে না, সঙ্গে করে নিয়ে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ। এতে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। আষাঢ়ের শুরু থেকেই চলছে ঝড়বৃষ্টির এমন দাপট। আবহাওয়ার আভাস হলো__আরো কয়েকদিন চলবে এ অবস্থা।
শনিবার (১১ জুলাই) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব উদ্দিন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকাছাড়া দেশের সব জায়গাতেই বৃষ্টি হয়েছে। সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বগুড়াতে ১০৭ মিলিমিটার। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১০৬ মিলিমিটার। এ ধারা অব্যাহত থাকবে আরো চারদিন।
এর মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা ও বরিশালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ জুলাইয়ের পর ৫ দিনের জন্য বৃষ্টি পরিমাণ কমে আসবে। এরপর আবার ১৮ বা ১৯ জুলাই থেকে বৃষ্টি শুরু হবে।
এ আবহাওয়াবিদ আরো বলেন, ‘এখন বর্ষা মৌসুম। এ সময় সাধারণত ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন থাকে না। এ সময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ চার মাসে সাধারণত বেশি বৃষ্টি হয়। সেপ্টেম্বর মাসে গিয়ে বৃষ্টি একেবারের কমে আসে।’
এদিকে আবহাওয়ার সর্বশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগার ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার এবং সমুদ্রবন্দর সমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আগামীনিউজ/এমআর