ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখল মুক্ত ও দূষণ রোধ করে নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী শীঘ্রই একযোগে অভিযানে নামবে সরকার।
বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন কমিটির অনলাইনে এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের অর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নদ-নদী দূষণমুক্ত করা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, উৎপাদনশীলতা ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঢাকার আশপাশের নদ-নদী দখলমুক্ত করার অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে মো.তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকাসহ দেশের সকল নদ-নদীকে দখলমুক্ত, দূষণমুক্ত করতে এই অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ নদ-নদী দখলদাররা আইন বহির্ভূত কাজ করে তারা মনে করে সরকার থেকে চালানো অভিযান কিছুদিন চলার পর তা বন্ধ হয়ে যাবে এবং তারা আবার দখলদারিত্ব শুরু করবে। এসব দখলকারীরা যেন এই সুযোগ না পায় সেজন্য সব সময় তৎপর থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী ঢাকার আশপাশের সকল নদ-নদী দখল ও দূষণ রোধে একটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। যে লক্ষ্য নিয়ে এই মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে তা রোড ম্যাপ অনুযায়ী দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, ‘মাস্টার প্লানে যে সকল দিক নির্দেশনা, সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে না পারলে আমাদের সকলের শ্রম সুফল বয়ে আনবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সকলের উপরে আস্থা রেখে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালনে আমাদের সবাইকে সকল কিছুর উর্ধ্বে উঠে কাজ করা উচিত।’
এসময়, রাজধানীতে জলাবদ্ধতা রোধ করতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং ঢাকা ওয়াসার এম ডি সহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। নগরবাসীর জন্য জলাবদ্ধতা কোনক্রমেই যেন দুর্ভোগের কারণ না হয় সেদিকে সতর্ক থাকার কথা বলেন তাজুল ইসলাম।
সভায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিএ- এর চেয়ারম্যান এবং ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন।
আগামীনিউজ/তরিকুল/এমআর