এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সকল ওয়ার্ডে চলমান বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাচ্ছে। তৃতীয় দিনে আজ সোমবার মোট ১৪ হাজার ৫৩টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ১৭৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এতে মোট ৯ টি মামলায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া ৯ হাজার ৫৬৭টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ অর্থাৎ বিভিন্ন স্থানে তিন দিনের বেশি জমা পানি পাওয়া যায়। এসকল স্থান ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীগণ পরিষ্কার করেন এবং মশকনিধন কর্মীগণ মশার কীটনাশক প্রয়োগ করেন।
গত ৬ জুন থেকে আজ পর্যন্ত ৩ দিনে ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ৩৯ হাজার ৮৩৭ টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ৫৩৯ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এবং ২৭ হাজার ৮০৩ টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া এ ৩ দিনে মোট ১ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আজ উত্তরা অঞ্চলে মোট ১ হাজার ১১৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৪টিতে এডিস মশার লার্ভা ও ৮১৮টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন ৩টি বাড়ির মালিককে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মিরপুর-২ অঞ্চলে মোট ৩ হাজার ১৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া গেলে ১জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্য বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে এডিসের লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ১ হাজার ৯৭৮টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। মহাখালী অঞ্চলে মোট ১ হাজার ৭১৪টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ২১১টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম কর্তৃক মহাখালী ওয়ারলেস এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ৫টি মামলায় মোট ৪৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মিরপুর-১০ অঞ্চলে মোট ১ হাজার ৮১৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৭টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৭৫৪টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। কারওয়ান বাজার অঞ্চলে মোট ২ হাজার ২০২টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ২২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ৮০০টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। হরিরামপুর অঞ্চলে মোট ১ হাজার ৪২৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২১টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ১২০টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। দক্ষিণখান অঞ্চলে মোট ১ হাজার ২০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৫৮২টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। উত্তরখান অঞ্চলে মোট ৭৩১টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪৮৩টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। ভাটারা অঞ্চলে মোট ৪৪৭টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৫টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৩৭৪টিতে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। সাঁতারকুল অঞ্চলে মোট ৫৭৫টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪৫০টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
অভিযান চলাকালে ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ, ডিএনসিসির বর্জ্য ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ, গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান আগামীকালও অব্যাহত থাকবে।
আগামীনিউজ/কামরুল/জেএস