ঢাকা : রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ও মিরপুর এলাকায় বিদেশ থেকে আমদানিকৃত খাওয়ার অযোগ্য বিপুল পরিমাণ মহিষের মাংস উদ্ধার করেছে র্যাব।
এসময় এর সাথে জড়িত থাকার অপরাধে মো. জালাল ও মো. কামাল নামের দুজনকে চার লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানের নেতৃত্বে দেন র্যাব -২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর এইচ এম পারভেজ আরেফিন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) মেজর এইচ এম পারভেজ আরেফিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত ৯টা থেকে সকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গাবতলী ও মিরপুরে অভিযান চালানো হয়।
প্রথমে, রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে মিথিলা পরিবহনে করে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত খাওয়ার অযোগ্য বিপুল পরিমাণ মহিষের মাংস যা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষণ করে রংপুরের উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান পরিচালনাকালে মিথিলা পরিবহনের মালামাল রাখার নোংরা বক্স থেকে ১৪৮ কেজি মাংস আটক করা হয়। পরবর্তীতে ঐ সূত্র ধরে মিরপুর ১১ তে তালাব বিহারী পল্লী মাংসের গোডাউনে পৌঁছায়। উক্ত গোডাউন দুটির মালিক মো. জালাল এবং মোহাম্মদ কামাল।
তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এই ব্যবসা করে আসছে। অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংসগুলো সংরক্ষণ করা হয় যার ফলে মাংসের গুণগত মান সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায় এবং এই মাংস ভক্ষণে শরীরে নানা ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা দিতে পারে।
বিশেষ করে ফুড পয়জনিং, অ্যানথ্রাক্স, ক্যান্সার, রেবিসসহ অন্যান্য মারাত্মক ধরনের রোগের সম্ভাবনা রয়েছে।
গোডাউন দুটির একটি থেকে ১৪৮০ কেজি এবং অন্যটি থেকে ৩৭০ কেজি মাংস জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা ইন্ডিয়ান আলানা নামক একটি কোম্পানি থেকে মাংস আমদানি করে থাকে। এই মাংসের গুণগতমান সংক্রান্ত কোনো সার্টিফিকেট ছিল না। এছাড়াও আমদানিকৃত ইনভয়েসের কোনো ভাউচার কিংবা রেজিস্টার পাওয়া যায়নি। এই অসাধু চক্রটি উক্ত খাওয়ার অযোগ্য মাংস বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সুপারশপে এবং রাজধানীর বাইরে অন্যান্য জেলা শহরগুলোতেও প্রেরণ করে।
তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মো. জালালকে দুই লাখ এবং মো. কামালকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং উক্ত জব্দকৃত মাংসগুলো ধ্বংস করা হয়।
এ ধরনের চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসহ ভবিষ্যতে অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
আগামীনিউজ/আরিফ/হাসি