করোনাভাইরাসের জন্য ভিসা ও টিকিট কেটে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব যেতে পারছেন না দশ হাজার যাত্রী।
দ্রুত ওমরাহর ব্যবস্থা, না হয় ক্ষতিপূরণ বাবদ এসব যাত্রীদের সব টাকা ১৫ দিনের মধ্যে ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজি কল্যাণ পরিষদ।
সোমবার (২ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের এ দাবি জানান। ১৫ দিনের মধ্যে সব টাকা ফেরত দেয়া না হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আব্দুল বাতেন, মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম, মাওলানা বশির আহমেদ, আলহাজ কামাল উদ্দিনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ড. নাসের বলেন,‘করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি সরকারের আকস্মিক ঘোষণায় ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ওমরাহ যাত্রী সে দেশে যেতে পারেননি। অথচ ভিসা, টিকিটসহ সব ধরনের খরচ করে ১০ হাজার ওমরাহ যাত্রী সৌদি যেতে প্রস্তুত। আজকেও বিমানবন্দর থেকে অনেকেই ফেরত এসেছেন। তাই সৌদি সরকার ভিসা, যাতায়াত, ইন্সুরেন্স, হোটেল বাবদ এসব ওমরাহ যাত্রীর কাছ থেকে আইবিএন এর মাধ্যমে যেসব টাকা নিয়েছেন তার পুরো টাকা যেন এজেন্সি বরাবরে ফেরত দেয়া হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশ অংশে এসব ওমরাহ যাত্রীর টিকিটের পুরো টাকা যেন এয়ারলাইন্সগুলো ক্ষতিপূরণ হিসেবে ফেরত দেয়।’
১০ হাজার ওমরাহ যাত্রীর ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে ড. নাসের বলেন, ‘কমমূল্যের প্যাকেজ হিসাব করলেও প্রতি ওমরাহ যাত্রীর খরচ পড়েছে ৮০ হাজার টাকা। সেই হিসাবে ১০ হাজার ওমরাহ যাত্রীর প্রায় ৮০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ’
সৌদি সরকার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজি কল্যাণ পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘তারা ঘোষণা দিয়েছে বলে আমরা পত্রিকায় দেখেছি, কিন্তু বাস্তবে রোববার (১ মার্চ) রাত পর্যন্ত কোনো সাড়া পাইনি। কোনো প্রকার আশ্বাসও পাইনি আমরা।’
ওমরাহ পালনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওমরাহ যাত্রী আল্লাহর মেহমান। করোনাভাইরাসের দোহাই দিয়ে ওমরাহ বন্ধ রাখা ঠিক হচ্ছে না। তারপরও বলবো, করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত ওমরাহ পালনের সুযোগ দেয়ার জন্য সৌদি সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি ।’
আগামীনিউজ/হাসি