Dr. Neem on Daraz
Victory Day

আট লাশসহ সৌদি থেকে ফিরলেন‌ ১৮৩ বাংলাদেশি


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক ‌ প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৫:২৭ পিএম
আট লাশসহ সৌদি থেকে ফিরলেন‌ ১৮৩ বাংলাদেশি

সৌদি আরব থেকে ২০ নারীসহ আরো ১৮৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন‌। গতকাল বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্স (এসভি-৮০৪) বিমানে ৮৯ জন আর রাত ১টা ১০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্স (এসভি-৮০৮) বিমানে ফেরেন ৯৪ বাংলাদেশি। এছাড়া, গত রাতে সৌদি আরব থেকে ২ নারীসহ দেশে ফিরেছেন ৮ রেমিটেন্স যোদ্ধার বাক্সবন্দি মরদেহ।

প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বরাবরের মতো গতকালও ফেরত আসাদের ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়।

গতকাল ফেরত আসা সাথী বেগম (৩০) এতোটাই অসুস্থ ছিলেন যে বিমানবন্দর থেকে প্রবাসী কল্যাণ ডেক্সের সহায়তায় উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সাথী জানান, নিয়োগকর্তা বছর খনেক আগে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। সেখানে নিয়োগকর্তা কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হন।

সাথীর সাথে একই সমস্যা নিয়ে দেশে ফিরেছেন ঢাকার হিরা খাতুন, বি বাড়িয়ার আবেদা খাতুন, সুনামগঞ্জের আমিরুন বেগম, মৌলভিবাজারের ফারজানা আক্তারসহ ২০ নারী।

গতকাল ফেরত আসা পাবনার জেলার শরিফ জানান, মাত্র এক বছর আগে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। সেখানে কাগজপত্র থাকা সত্বেও শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হয়।

কিশোরগঞ্জের শাকিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাইরুল ইসলামের গল্পটাও একই, কোনো কারণ ছাড়াই একবছরের মাথায় দেশে ফিরতে হলো তাদের। তাদের সাথে ফিরেছেন পিরোজপুরের শামিম, ময়মনসিংহের আমিন, কুমিল্লার বাবুল ও রশিদসহ ১৮৩ কর্মী।

শুধু যে প্রবীসারা ফেরত আসছেন তাই নয়, গত রাতে সৌদি আরব থেকে ২ নারীসহ দেশে ফিরেছেন ৮ রেমিটেন্স যোদ্ধার বাক্সবন্দি মরদেহ। স্বজনদের আর্তচিৎকার শোনার কেউ নেই কারণ রাত অনেক গভীর। চলতি বছরে এ পর্যন্ত এমনি বাক্সবন্দি হয়ে ৪০৯ রেমিটেন্স যোদ্ধা ফিরেছেন নিথর দেহে।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতেই সৌদি থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭৫ নারীসহ ৩ হাজার ৬৩৫ বাংলাদেশি। আর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে মোট ৬৪ হাজার ৬৩৮ কর্মী দেশে ফিরেছেন যাদের পরিচয় ডিপোর্টি।

শরিফুল হাসান বলেন, ফেরত আসা প্রবাসীদের আমরা শুধু বিমানবন্দরে সহায়তা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছি না, তারা যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য কাউন্সিলিং, দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও আর্থিকভাবেও পাশে থাকার চেষ্টা করছি। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সবাই মিলে কাজটি করতে হবে। পাশাপাশি এভাবে যেন কাউকে শূন্য হাতে ফিরতে না হয় সেজন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে দায়িত্ব নিতে হবে। দূতাবাস ও সরকারকেও বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে।

আগামীনিউজ/ইমরান/নুসরাত

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে