মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার (৫ জানুয়ারি)।
২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭১ বছর বয়সে মারা যান এ রাজনীতিবিদ।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ, সিলেট ও তার নিজ এলাকা সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদে ছিলেন অন্যতম কনিষ্ঠ সদস্য। স্বাধীন দেশের প্রথম সংসদসহ চার দশকের প্রায় সব সংসদেই তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ষাটের দশকের উত্তাল রাজনীতি থেকে উঠে আসা এই নেতা সর্বশেষ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দ্বিতীয়, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম জাতীয় সংসদসহ মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর তিনি রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন। সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি করার পর আইন পেশায় যুক্ত হন। ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ভিপি প্রার্থী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) পিকিং ও মস্কো ধারায় দুই ভাগ হলে সুরঞ্জিত অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন অংশে যোগ দেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে ন্যাপ থেকে বিজয়ী হন। পরে ন্যাপের ভাঙনের পর গণতন্ত্রী পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৬ ও ১৯৯১ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে জয়ী হন।
আগামী নিউজ/এসএম