Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বাণিজ্যিক অনুমতি ছাড়া ঢাকায় ব্যবসা নয়: মেয়র তাপস


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৩, ০৬:৩০ পিএম
বাণিজ্যিক অনুমতি ছাড়া ঢাকায় ব্যবসা নয়: মেয়র তাপস

ঢাকাঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ব্যবসা করতে হলে বাণিজ্যিক অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) নিতেই হবে। এছাড়া কাউকে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে রাজস্ব আদায়ের সার্বিক পর্যালোচনা সভা রাজস্ব সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, আমাদের রাজস্ব মেলাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও রাজস্ব আদায়ে আমাদের অভিযানগুলো আরো কঠোর করতে হবে। ব্যক্তি বিশেষের প্রতিষ্ঠান, নামকরা মার্কেট বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, যাই হোক না, কেউ যদি বাণিজ্যিক অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) না নিয়ে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে, প্রয়োজনে সেসব স্থাপনা-মার্কেট সিলগালা করে দিতে হবে, ক্রোক করতে হবে। এ ধরনের কিছু উদাহরণ সৃষ্টির করা হলে বাকিরাও নড়েচড়ে বসবে। সেজন্য আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের আরও কঠোরতা প্রদর্শনের নির্দেশ দিচ্ছি। বাণিজ্যিক অনুমতি ছাড়া আমরা কাউকে ঢাকা শহরে ব্যবসা পরিচালনা করতে দেব না।

কর সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানে জড়িত সবার আচরণগত পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করে মেয়র বলেন, রাজস্ব আদায়ে একটি বড় বিষয় হলো, আপনার আচরণ, আপনার ব্যবহার। এক্ষেত্রে আপনার দফতরে যারা সেবাটা নিতে আসছেন তাদের সাথে ভালো আচরণ করবেন, সুন্দর ব্যবহার করবেন। সেবা নিতে এসে একজন ব্যক্তির যেন আপনার দফতরে তিনবার, চারবার আসা না লাগে। সেটা কাম্য নয়। যেদিন এসেছেন সেদিনই তাকে সেবাটা দেবেন। প্রয়োজনে একটু বিলম্ব হলেও সেদিনই সেবাটা দেবেন। তাকে কালকে আসেন, পরশু আসেন, তিন দিন পরে আসেন, দশ দিন পরে আসেন- এসব বলা যাবে না। এতে করে সে ব্যক্তি কর দেওয়ার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেন। আপনার আচরণগত কারণে বা তাকে যথাযথ সেবা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করার কারণে একজন আগ্রহী করদাতাও করখেলাপি হয়ে যেতে পারেন। সুতরাং কোনো আগ্রহী করদাতাকে করখেলাপি বানাবেন না।

এ সময় হয়রানি ছাড়া জনগণকে সেবা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কঠোরতা দেখানো হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমরা কিন্তু ঝুড়িতে একটাও পচা আম রাখতে চাই না। আপনারা জানেন যে, আমরা পচা আম ফেলে দিচ্ছি এবং আরও পচা আম আমরা ফেলতে থাকব। এটা চলমান প্রক্রিয়া। আমার দাদি বলতেন, একটা ঝুড়িতে একটা পচা আম থাকলে বাকি আমগুলোতেও পচন ধরে। আমের ঝুড়ি থেকে প্রথমে আমগুলো নিয়ে নিচে রাখতে হয়। তারপর যেগুলো ভালো সেগুলোকে ঝুড়িতে রাখতে হয়। যেগুলো পচা আম সেগুলো ফেলে দিতে হয়। সুতরাং এখনো যে কয়টা পচা আম আছে বা এখনো যারা অন্যভাবে চিন্তা করেন তারা এখানে থাকতে পারবে না। এখানে থেকে কোনো ধরনের গাফিলতি, অবহেলার সুযোগ নেই।


করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় রাজস্ব সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব সচিব আকরামুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে (অঞ্চল-১ ও ৭) মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, (অঞ্চল ২ ও ৬) সোয়ে মেন জো, (অঞ্চল-৩) বাবর আলী মীর, (অঞ্চল ৪ ও ১০) মো. আতাহার মিয়া, (অঞ্চল ৫ ও ৯) মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার এবং (অঞ্চল-৮) মোহাম্মদ শফিউর রহমান প্রমুখ রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে বিদ্যমান প্রতিকূলতা ও আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করেন।

আজকের রাজস্ব সম্মেলনে উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলীসহ করপোরেশনের কর কর্মকর্তা, উপ-কর কর্মকর্তা, বাজার সুপারভাইজর, লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজর, রেভিনিউ সুপারভাইজার, রেন্ট এসিট্যান্স, হিসাব সহকারীসহ রাজস্ব বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।


এমআইসি

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে