Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে : তথ্যমন্ত্রী


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৩, ০৪:২২ পিএম
সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

ফাইল ছবি

ঢাকাঃ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আপামর বাঙালি সাম্প্রদায়িক নয়। সবাই মিলে-মিশে একাকার। সে কারণে এ দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাঝেমধ্যে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করলেও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি।

তিনি বলেন, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই অপশক্তি অবদমিত হয়েছে। কিন্তু সেই অপশক্তি নির্মূল হয়নি। দেখা যায়, যখন নির্বাচন আসে, তখন এই অপশক্তি আবার ফণা তোলার অপচেষ্টা চালায়। তাই এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর বনানী মাঠে স্থাপিত পূজামণ্ডপে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন আয়োজিত শুভ মহালয়া ১৪৩০ অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি, তারপর ধর্মের পরিচয়। কিন্তু এই চেতনার বেদিমূলে আঘাতের ফলে পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব সম্প্রদায়ের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতে ৩০ লাখ শহীদ ও ও ২ লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, লাল সূর্যখচিত সবুজ পতাকা ছিনিয়ে এনেছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৯৭৫ সালের পর সেই সাম্প্রদায়িক ভাবধারা ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। আজকেও সেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আমাদের দেশে আছে। তারা সময়ে সময়ে তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা গত ১৫ বছরের পথচলায় চেষ্টা করেছি, ১৯৭৫ সালের পরে বাংলাদেশের যে মূল চেতনা হারিয়ে গিয়েছিল, তা ফিরিয়ে আনার। একটি রাষ্ট্রের কখনো 'শত্রু সম্পত্তি আইন' ধরনের আইন থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। সেটি বিলুপ্ত করে ভিন্ন আইন করা হয়েছে। এভাবে অনেক কাজ করা হয়েছে।

দেশে সম্প্রীতির উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশে সবকিছু ছাপিয়ে বড় উৎসব, বাঙালির উৎসব হয়ে দাঁড়িয়েছে পয়লা বৈশাখ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের দেশে যেভাবে বাংলা নববর্ষ উৎসব পালিত হয়, সরকারিভাবে ভাতা এবং ছুটি প্রদান করা হয়, সেটি অনেক ক্ষেত্রে পাশের দেশেও নেই।

হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার, ধর্ম যার যার রাষ্ট্রও সবার। আর সেটির প্রতিফলন আমরা দেখি দুর্গাপূজা, ঈদ, প্রবারণা পূর্ণিমাসহ সকল ধর্মীয় পার্বণে, যেখানে সকল ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর হয়ে শামিল হয়।

শিল্পী মনোজ সেনগুপ্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গুলশান-বনানী পূজা উদযাপন ফাউন্ডেশনের সভাপতি পান্না লাল দত্ত, সাধারণ সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ ঘোষ, সন্তোষ শর্মা প্রমুখ। শেষে ফাউন্ডশনের শিল্পীরা মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।


এমআইসি

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে