Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বি‌দে‌শি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২৩, ০৮:৩৫ পিএম
বি‌দে‌শি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকাঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মো‌মেন ব‌লে‌ছেন, বাংলা‌দে‌শে বি‌দে‌শি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন। অন্য কোনো দেশে এভাবে বলেন না।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় শে‌ষে সাংবাদিকদের স‌ঙ্গে আলাপকা‌লে এ কথা ব‌লেন মন্ত্রী।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব‌লেন, আমাদের দেশে অনেক দিন থে‌কে হ‌য়ে আসছে। এ জন্য বিভিন্ন মহল দায়ী। তবে এ সংস্কৃতি একদিনে পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না। এখন সময় এসেছে, এ সংস্কৃতি থে‌কে বেরিয়ে আসার। এ সংস্কৃতি বন্ধে আমরা একটা সেমিনার করব।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, দুর্নীতি দমনে দেশ‌টি নিষেধাজ্ঞাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে দুর্নীতি ক‌রে যেসব বাংলাদেশিরা অর্থ জমিয়েছে, তা জব্দের কথা শোনা যাচ্ছে। এ বিষ‌য়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া জান‌তে চাইলে মো‌মেন ব‌লেন, দুর্নীতি করে টাকা নিয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার যদি তা জব্দ করে সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ। তারা যদি দুর্নীতি বন্ধে সাহায্য করেন, আমরা খুব খুশি হব। কারণ তাদের দেশে একটি আইন আছে, বেশি টাকা নিয়ে গেলে কাজের অনুমোদন পাওয়া যায়, তাদের নাগরিক হওয়া যায়।

তিনি ব‌লেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, অন্য দেশেও এ নিয়ম আছে। আর আমাদের দেশে যারা দুর্নীতি করে টাকা নিয়ে যান তা‌দের যদি জব্দ করা হয়, আমরা খুশি হব।


বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনার বিষ‌য়ে জান‌তে চাইলে মো‌মেন ব‌লেন, তারা তাদের বক্তব্য ও নির্দেশনা দিয়েছেন। গণমাধ‌্যমকর্মী‌দের জন‌্য বি‌শিষ্টজনরা নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান মো‌মেন।

তিনি ব‌লেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত যখন বাংলাদেশের বিভিন্ন নি‌য়ে কথা ব‌লেন, তখন সাংবাদিকরা কখনও তা‌কে প্রশ্ন করেননি, আপনি জেনেভা কনভেনশনের ৪১ ধারা লঙ্ঘন করেছেন কিনা? কিংবা তা‌দের দেশে বিচার-বহির্ভূত হত্যার কাণ্ডের শিকার হওয়া নি‌য়ে কেনে প্রশ্ন করেননি তারা যখন বলেন, বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই, কেউ তখন তাদের জিজ্ঞাসা করে না, আপনাদের দেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কেমন? কত শতাংশ লোক ভোট দেন। আমরা শুনেছি যে ২৬ শতাংশের বেশি লোক ভোট দেন না। এসব প্রশ্ন আমাদের সাংবাদিকরা করেন না।

মো‌মেন ব‌লেন, বৈঠকে থাকা বিশিষ্ট এক ব্যক্তি ব‌লে‌ছেন, কূটনীতিকদের কীভাবে প্রশ্ন করতে হয়, সাংবাদিকদের তার একটা অরিয়েন্টেশন দরকার। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নি‌য়ে আলোচনা হ‌য়ে‌ছে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে তারা আমাদের দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।


তা‌দের দিক-নির্দেশনার বিষ‌য়ে জান‌তে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব‌লেন, একটা হচ্ছে, আগামী দিনে আমরা কীভাবে কূটনীতিকদের ম্যানেজ করব। এ বিষ‌য়ে তারা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ১৪ কংগ্রেসম্যান চিঠি লিখেছেন। চি‌ঠি‌তে বাংলাদেশ নি‌য়ে যেসব ভুল তথ্য দেওয়া হ‌য়ে‌ছে, সেগু‌লো তু‌লে ধরা উচিত।

মার্কিন দুই কং‌গ্রেসম‌্যা‌নের বাংলা‌দেশ সফরের কারণ জান‌তে চাইলে মো‌মেন ব‌লেন, আমাদের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খুব আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চান। সে কারণে একের পর এক মার্কিন সিনিয়র কর্মকর্তারা এসেছেন, আমরা তাদের স্বাগত জানিয়েছি। তারা স্বেচ্ছায় এসেছেন, আমরাও খুব খুশি।

তিনি ব‌লেন, দুজন আসছেন মূলত রোহিঙ্গাদের বিষয়টি দেখার জন্য। রোহিঙ্গাদের আগে ১২ ডলার সহায়তা দেওয়া হত এখন কমিয়ে আট ডলার করা হয়েছে। আর রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। দুই কংগ্রেসম্যান একটি অনুমোদন কমিটির সদস্য, তারাই টাকা অনুমোদন করেন। এখন এসে দেখবেন, আরও অর্থের দরকার আছে কিনা, বাড়ানোর প্রয়োজন কিনা। তারা এসব যাচাই-বাছাই করবেন।


এমআইসি

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে