রাজশাহীঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলার দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করেছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত ১০ টা ১ মিনিটে কারাগারে এই ফাঁসি কার্যকর হয়।
জল্লাদ আলমগীর হোসেনেরর নেতৃত্বে আরও আটজন জল্লাদ এই ফাঁসি কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এ সময় চিকিৎসকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুজনের পরিবারের সদস্যরা কারাগারে উপস্থিত হন।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- রাবির ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মো. মহিউদ্দিন এবং নিহত ড. এস তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা জাহাঙ্গীরের নিকট আত্মীয়রা তার সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন। সকালে অপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মহিউদ্দিনের স্বজনরাও সাক্ষাৎ করে যান।
২০০৮ সালে নিম্ন আদালতে মামলার রায় ঘোষণার পর থেকেই রাবি শিক্ষক তাহের হত্যা মামলার দুই মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন।
ফাঁসির রায় ও উচ্চাআদালত থেকে সর্বশেষ আদেশের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ দুই আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি এই প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। তার কাগজপত্র গত বুধবার (৫ জুলাই) রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়।
এর আগে গত ২ মার্চ ড. এস তাহের হত্যা মামলায় এই দুজনের ফাঁসি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত। নিম্ন আদালতে দুজনের মৃত্যুদণ্ডের যে রায় এসেছিল তাই বহাল থাকে আপিল বিভাগে, খারিজ হয় রিভিউ আবেদনও। এরপরে তারা প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ বাদি হয়েনগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপরে ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।
এমআইসি