ঢাকাঃ ঢাকা-১৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের মামলা তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২২ জুলাই) রাতে ঢাকা মহাগনর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মামলার ডকেটসহ যাবতীয় তথ্য ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার রিফাত হোসেন শামীম বলেন, ‘আমরা মামলার নথিপত্র বুঝে পেয়েছি। ওই মামলায় গ্রেপ্তার ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেনকে তিনদিনের রিমান্ড শেষে শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে ডিবি হেফাজতে রিমান্ডে থাকা মানিক গাজী, আল আমিন ও মাসুদ তালুকদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই পাঁচজন ছাড়া অন্যরা শুরু থেকেই কারাগারে আটক আছেন। ঘটনার ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসি) ফুটেজ দেখে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পারিচালনা করছি।‘
এদিন হিরো আলমকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের তার সামনে হাজির করে জানতে চাওয়া হয় এরা হামলাকারী কি না। হিরো আলম আসামিদের শনাক্ত করেন।
ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিদেরকে আমার সামনে আনা হয়েছে। পুলিশ জানতে চেয়েছে আমার ওপর যারা হামলা করেছে তারা এখানে আছে কি-না। আমি বলেছি হ্যাঁ, এরাই হামলাকারী। তবে আরও ৪-৫ জন হামলাকারী আছেন। যাদেরকে আমি দেখলে চিনতে পারব।’
গত ১৭ জুলাই বিকালে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোট চলাকালে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান হিরো আলম। এ সময় কয়েকজন যুবক তাকে দেখতে পেয়ে গালাগাল করতে থাকেন এবং কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা দিয়ে হিরো আলমকে স্কুল ফটকের বাইরে পৌঁছে দেন। তখন নৌকার ব্যাজধারী ব্যক্তিরা ধাওয়া দিয়ে হিরো আলমকে রাস্তায় ফেলে দেন। কিল-ঘুষি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। হিরো আলম দৌড়ে বনানীর দিকে চলে যান। পরের দিন ১৮ জুলাই হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। মামলাটি বনানী থানা পুলিশ তদন্ত করছিল।
বুইউ