Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বিচার না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতকে নিষিদ্ধ বলতে পারি না: আইনমন্ত্রী


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৩, ০২:২২ পিএম
বিচার না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতকে নিষিদ্ধ বলতে পারি না: আইনমন্ত্রী

ঢাকাঃ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিচার শুরুর জন্য যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে। কিন্তু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা জামায়াতকে নিষিদ্ধ বলতে পারি না।

রোববার (১১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ল’ রিপোর্টর্স ফোরাম (এলআরএফ) আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় আইনমন্ত্রী আরও বলেন, জামায়াতের বিচারের জন্য আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে, শিগগির তা মন্ত্রিসভায় উঠবে।

সংসদে প্রতিনিধিত্ব আছে এমন রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে নির্বাচনকালীন ছোট সরকার গঠন হবে বলেও জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে যে অঙ্গীকার করেছিল, সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে।

জামায়াতের সমাবেশ করা নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কেন তারা অনুমতি দিলো সেটার উত্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলে যখন বিভিন্ন উপনির্বাচনে কারচুপি হয়, তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কনসেপ্ট তৈরি হয়। হাইকোর্টে যখন এটাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়, তখন সেখান থেকে রায় দেওয়া হয় যে এটা সংবিধান সম্মত নয়। মামলাটি আপিল বিভাগে যাওয়ার পর সেখানেও একই রায় হয়। অর্থাৎ, সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সুতরাং এমন সরকার গঠনের চিন্তা আওয়ামী লীগের নেই।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘তাদের অনেক নেতাকর্মীকে হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে। এমনকি মৃত ব্যক্তির নামেও নাকি মামলা রয়েছে।’ আমি বলতে চাই, হয়রানি নয় অপরাধ করেছে বলেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ২০০১ এ ক্ষমতায় আসার পর তারা আওয়ামী কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার চালিয়েছে, সেগুলো অপরাধের মধ্যেই পড়ে। তিনি বলেছেন, ‘অনেককে নাকি গুম করা হয়েছে।’ যারা গুম হয়েছে তাদের আত্মীয়রা এসে রিপোর্ট করুক, আমরা তদন্ত করব।

খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, সংবিধানের ৬৬নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে নৈতিক স্খলনের দায়ে কোনো ব্যক্তির যদি দু বছরের বেশি দণ্ডাদেশ হয়, তাহলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। খালেদা জিয়া এখন অসুস্থ বিধায় বাড়িতে থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। তিনি যদি সুস্থ হয়ে ওঠেন, রাজনীতি করার জন্য প্রস্তুত থাকেন। তাহলে প্রথমে দায়িত্ব হচ্ছে দণ্ডিত সাজা আগে ভোগ করা।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের মধ্যে তিনটি দল রয়েছে। এক দল চায় আইনটি বাতিল হোক, আরেক দল চায় সংশোধন করা হোক, যাদের সংখ্যা বেশি। আরেক দল চায়, যেভাবে আছে থাকুক। বিশ্বের অন্যান্য দেশ কীভাবে এই আইন পরিচালনা ও সংশোধন করে সেগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এটা যেন হয়রানিমূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে। শুধু সাংবাদিক নয়, সাধারণ মানুষের মনেও যেন এই আইন নিয়ে কোনো ভয় কাজ না করে,সেটাও আমরা বাস্তবায়ন করব।

মার্কিন ভিসানীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আনিসুল হক বলেন, মার্কিন ভিসানীতির কারণে অপমাণিত হয়েছে বাংলাদেশ। সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করলে আপত্তি নাই। কিন্তু শুধু একটা দলের জন্য ব্যবহার করলে আপত্তি আছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা ডাকলে আমি চলে আসি, কারণ আপনাদের সান্নিধ্য আমার ভালো লাগে। দেশের স্বাধীনতার রক্ষার্থে ও গণতন্ত্র বিকাশে যে ভূমিকা রেখেছেন অবশ্যই তা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশকে যে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো, বঙ্গবন্ধুকন্যা এই ১৫ বছরে সেখান থেকে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল করেছেন এবং তিনি গণতন্ত্রের একটা ভিত বাংলাদেশে রচনা করেছেন। আমার বিশ্বাস, সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আপনারা এটাকে আরও শক্তিশালী করবেন।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে