ঢাকাঃ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ থেকে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা যেন কোনোভাবেই পিছিয়ে না পড়েন সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) চার কমিশনার।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মাসিক সমন্বয় সভা শেষে এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, ‘মাসিক সমন্বয় সভা ছিল। ইসির সব কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে বসেছিলাম এবং নির্বাচন কমিশনাররাও ছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন কমিশনাররা। কমিশনাররা বলেছেন, আমরা যেন ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ থেকে পিছিয়ে না পড়ি।’
সচিব বলেন, ‘নির্বাচনের আপ টু বটম, মালামাল ক্রয় থেকে শুরু করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন পর্যন্ত সব বিষয়ের ওপর তারা রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্দেশনা দিয়েছেন যে, কোনো কোনো বিষয়ে আমরা পিছিয়ে আছি। মাঠ পর্যায় থেকে আমরা জানতে চেয়েছি ব্যালট বক্সগুলো কোথায় আছে, কীভাবে আছে, সেগুলোকে কীভাবে যাচাই করে তারা আমাদের রিপোর্ট দেবে এসব বিষয়। এগুলো বাস্তবিক অর্থেই ইসির অভ্যন্তরীণ কাজ।’
আরপিও নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আরপিও নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। সেখানে মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। নীতিগত অনুমোদন বলতে যে প্রস্তাবনাগুলো আছে সেগুলো আইন মন্ত্রণালয় আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখবে। তারপর পরবর্তী সভায় উত্থাপন করবে। কোনো অংশ বাতিল বা কোনোটা রাখা হবে সেটা কিন্তু নীতিগত অনুমোদনের সময় সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় না। মিডিয়ায় দুটি বিষয়ে ভিন্ন রকম প্রতিবেদন এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোথাও গুরুতর অনিয়মের কারণে নির্বাচন স্থগিত করতে হয়, নির্বাচন কমিশন করতে পারেন, এটা আগে থেকে বলা আছে। এখন বলা হয়েছে, কোনো একটি ফলাফল তৈরির সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বিবরণীটা কমিশনে পাঠাবেন, তখন যদি গুরুতর কোনো অনিয়ম হয়, তখন নির্বাচন কমিশন যথাযথ তদন্ত করবে। তদন্তে যদি মনে হয় ফলাফল করার কথা তাহলে তারা প্রকাশ করবে, অন্যথায় ওই গুরুতর অপরাধে ফলাফল সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি, তখন তারা বাতিল করতে পারবেন। এখানে গেজেট প্রজ্ঞাপনের পরে বাতিল কথাটা কিন্তু না।’
বুইউ