Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সুন্দরবনের গহীন অরণ্যের জল সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি ডিজি


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২০, ০৫:১০ পিএম
সুন্দরবনের গহীন অরণ্যের জল সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি ডিজি

ঢাকা : সুন্দরবনের গহীন অরণ্যের জল সীমান্তে অবস্থিত ভাসমান বিওপি পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক মোঃ সাফিনুল ইসলাম। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বুধবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে বিজিবি’র খুলনা সেক্টরের নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন (১৭ বিজিবি), সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি), রিভারাইন বর্ডার গার্ড কোম্পানীর অধীনস্থ আঠারবেকি ও কাঁচিকাটা ভাসমান বিওপি এবং কৈখালী বিওপি পরিদর্শন করেন। এ সময় খুলনা সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো: আরশাদুজ্জামান খানসহ বিজিবি’র অন্যান্য কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বিজিবি মহাপরিচালক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন দুর্গম সীমান্তের বিওপি এবং সেখানকার সীমান্ত ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এমনকি একটি নির্দিষ্ট সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি উক্ত এলাকার সবচেয়ে দুর্গম বিওপি পরিদর্শন করে থাকেন।

দেশের মোট ৪,৪২৭ কিলোমিটার বিস্তৃত সীমান্ত এলাকার মধ্যে ২৪৩ কিলোমিটার জলসীমা রয়েছে যার মধ্যে ১৮০ কিলোমিটার জলসীমা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত। উল্লেখ্য, দেশের স্থল সীমান্তে বিজিবির কঠোর পদক্ষেপের ফলে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাচার, মানব পাচার ও অন্যান্য চোরাচালান উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু চোরাকারবারীরা প্রতিনিয়ত রুট পরিবর্তন করে নৌ-পথকেও বেছে নিচ্ছে। তাছাড়া বনদস্যু ও জলদস্যুরা সুন্দরবনসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলসীমান্তে নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে।

এই বিস্তৃত জলসীমায় বিজিবি’র পর্যাপ্ত জলযান, ভাসমান বিওপি এবং জনবল না থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবনের এই গহীন অরণ্যের জল সীমান্তে যথাযথ নজরদারী ও অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটছে। তাই জলসীমায় বিজিবি’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, ইতোমধ্যেই বিজিবির জন্য দুটি হেলিকপ্টার ক্রয় করা হয়েছে। এই হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দুর্গম বিওপিগুলোকে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা প্রদান করা আরো সহজ হবে। তাছাড়া জলসীমান্তের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সুন্দরবন ও সেন্টমার্টিনসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আগ্রাসন রোধে নজরদারী বৃদ্ধি, নিজস্ব জল সীমানায় আধিপত্য বিস্তার ও অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিজিবির সাংগাঠনিক কাঠামোতে চারটি হাইস্পীড ইঞ্জিন বোট, দুটি ফাস্ট ক্রাফট ও একটি লজিস্টিক শীপ ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এতে বিওপিসমূহের অপারেশনাল দক্ষতা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা বর্তমানের চেয়ে অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

আগামীনিউজ/মোরসু/এস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে