পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কূটনীতি জোরদার করার লক্ষ্যে সেগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলোর বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফরকালে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রদূত সম্মেলনে শ্রম, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্যা, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং অর্থনৈতিক কূটনীতির পাশাপাশি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হবে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, রাষ্ট্রদূত সম্মেলনে বাহরাইন, ইরান, ইরাক, কুয়েত, লেবানন, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতরা অংশ নেবেন।
তিনি বলেন, সম্মেলনে রাষ্ট্রদূতরা তাদের বিভিন্ন ধারণা, বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণের বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা, অভিবাসন ইস্যু মোকাবেলা, পশ্চিম এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর উপায় ও সেখানে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণ এবং ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বিষয়ে আলোচনা করবেন।
সরকার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বিনিয়োগ বাড়াতে চায় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত সম্মেলন এখন করাই ভালো’।
সমস্যা সমাধানে যা যা করা প্রয়োজন সরকার তা করবে বলেও জানান তিনি।
ড. মোমেন বলেন, দুই শতাংশ প্রণোদনা প্রবর্তনের মধ্যেই বাংলাদেশে রেমিট্যান্স ১৬-১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউএইয়ের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ। ‘প্রক্রিয়াটি তরান্বিত করা হবে’।
আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি সপ্তাহ-২০২০ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ইউএইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন বলে জানান ড. মোমেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এএম