Dr. Neem on Daraz
Victory Day

লালন তিরোধান দিবসে ৭ লালন গবেষক-সাধক পেলেন সম্মাননা


আগামী নিউজ | ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২১, ০৮:২১ এএম
লালন তিরোধান দিবসে ৭ লালন গবেষক-সাধক পেলেন সম্মাননা

ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ লালন সাঁইয়ের ১৩১তম তিরোধান দিবসে প্রথমবারের মতো সাতজন লালন গবেষক ও সাধককে সম্মাননা স্মারক দিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। লালন গবেষণা ও সাধনায় বিশেষ অবদানের জন্য তাদেরকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) শিল্পকলা একাডেমির বাউলকুঞ্জে লালন সাঁইয়ের ‘১৩১তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে লালন স্মরণোৎসবের উদ্বোধন করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

লালন গবেষণায় সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন- অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরী এবং অধ্যাপক ড. শক্তিনাথ ঝা (ভারত)। লালন সাধনায় সম্মাননা পেয়েছেন পার্বতী দাস বাউল (ভারত), ফকির মোহাম্মদ আলীশাহ (কুষ্টিয়া), ফকির আজমল শাহ (ফরিদপুর), নিজামউদ্দিন লালনী (মাগুরা), সুরুবালা রায় (ঠাকুরগাঁও)। সম্মাননা স্মারক হিসেবে প্রত্যেককে দেওয়া হয় একটি করে ক্রেষ্ট, স্মারকপত্র ও ২৫ হাজার টাকা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান। আলোচনা করেন ফকির নহীর শাহ্‌ ও দেবোরাহ জান্নাত।

বক্তারা বলেন, ফকির লালন সাঁইজির অবদান মূল্যায়ন এবং জাতীয় পর্যায়ে এ মহৎ পদকর্তার সংগীত ভান্ডারকে আরও জনপ্রিয় ও লোকগ্রাহ্য করে। সাঁইজি আজীবন মানবতা ও অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলেছেন। সব ভেদাভেদ ভুলে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সাঁইজির আদর্শ অনুসরণ করে চললে সহিংসতা থাকবে না। সুন্দর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত হবে।

ফকির লালন সাঁইয়ের অবদান মূল্যায়ন এবং জাতীয় পর্যায়ে ও তার সঙ্গীত ভান্ডারকে আরও জনপ্রিয় ও লোকগ্রাহ্য করে তার আলোকে জীবন ও সমাজ গঠনে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এ সাধুমেলার আয়োজন করা হয়। ২০১৯ সাল থেকে প্রতি মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ‘সাধুমেলা’ এর আয়োজন করে শিল্পকলা একাডেমি।

২০১৯ সাল থেকে প্রতিমাসের পূর্ণিমা তিথিতে ‘সাধুমেলা’ আয়োজন করে আসছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ লালন সাঁইজির ১৩১তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে লালন স্মরণোত্সব ও সাধুমেলার ৩১তম আসর আয়োজন করা হচ্ছে।

মানবতার মহান সাধক ফকির লালন সাঁই ১৭৭৪ সালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি থানার অন্তর্গত চাপাড়া, ভাড়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন নিবেদিত প্রাণ সাধক, দার্শনিক ও মানবতাবাদী কবি। তার মর্মস্পর্শী পদাবলি বাংলার সহজ সরলমনা সঙ্গীতপ্রেমীদের আত্মার খোরাক। দেশে ও দেশের বাইরে মুক্তিকামী অসংখ্য মানুষ লালন ফকিরের ভাব বাণীকে নিজ জীবনের ভাবাদর্শ হিসেবে গ্রহণ করছেন।

আগামীনিউজ/বুরহান

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে