ঢাকাঃ নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক গভীর ও কালের বিবর্তনে উত্তীর্ণ। ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যে কোন প্রতিবেশী দেশের জন্য রোল মডেল। রক্ত দিয়ে লেখা এ সম্পর্ক ছিন্ন করা যায় না। এ সম্পর্ক শুধু বন্ধুত্বের নয়, এ সম্পর্ক ভাইয়ের সম্পর্ক। বর্তমানে দু’দেশের সম্পর্ক যে উচ্চতায় গেছে তা অনুসরণ করার মতো। এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। রক্তে লেখা সম্পর্ক অক্ষুন্ন থাকবে।’
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁওয়ে পেট্রাপোল স্থলবন্দরের দ্বিতীয় কার্গোগেইটের নির্মাণ কাজ এবং প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন-১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা উল্লেখ্য করেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ২৫ বছর মেয়াদি ‘মৈত্রী চুক্তির’ মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্কের যে গোড়াপত্তন করে গেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তা আরও সুসংহত ও বহুমুখী করেছেন। তারই হাত ধরে গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, ছিটমহল বিনিময়, ট্রানজিট সুবিধা প্রদান ও সমুদ্রসীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারতের সীমান্ত নীতির ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ নীতির কারণে বাংলাদেশ এখন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠেছে।’
এসময় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় বলেন, ‘ভারতের নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্য পেট্রাপোলে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে সেই সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেল। দু’দেশের সম্পর্ক আর জোরদার করতে মোদিজি সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’ ভারতের আরেক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশিথ প্রামানিক বলেন, করোনার মধ্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাত ধরে অনেক এগিয়ে যাবে।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, ভারতের ল্যান্ডপোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র ও বাংলাদেশের স্থলবন্দর কতৃর্পক্ষের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন চৌধুরীসহ দু’দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।