ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য প্রায় দেড় লাখের মতো ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৩০০টি ঘরে ত্রুটি ধরা পড়েছে। এরমধ্যে কিছু ঘর হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা ভেঙে গণমাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রচার করেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের এ সভা সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে চলে সোয়া ১২টা পর্যন্ত। এতে অর্ধশত নেতা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখনই ঘর ভাঙার তথ্য পেয়েছি। সম্পূর্ণ সার্ভে করেছি। কারা এর সঙ্গে জড়িত, প্রত্যেকের নাম-ঠিকানাসহ পেয়েছি। তবে কিছু জায়গায় অতিবৃষ্টির কারণে মাটি দেবে ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নয় জায়গায় আমরা দুর্নীতি খুঁজে পেয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৩০০টা ঘর ভেঙেছে বিভিন্ন এলাকায় কিছু মানুষ নিজে থেকে গিয়ে হাতুড়ি-শাবল দিয়ে সেগুলো ভেঙে ভেঙে তারপর মিডিয়ায় সেগুলোর ছবি তুলে দিচ্ছে। তাদের নাম-ধাম এগুলো তদন্ত করে বের করা হয়েছে। আমার কাছে পুরো রিপোর্ট আছে। মানে গরিবের জন্য ঘর করে দিচ্ছি, তারা এভাবে যে ভাঙতে পারে...।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মাণে সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দেখেছি যে প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। যাদের ওপর দায়িত্ব দিয়েছিলাম, আমাদের ইউএনও-ডিসি সব কর্মচারীরা ছিল, তারা কিন্তু অনেকে নিজেরা এগিয়ে এসেছে এই ঘরগুলো তৈরিতে সহযোগিতা করার জন্য।
প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সংগঠন থাকায় করোনা মহামারির ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান।