ঢাকাঃ বিধিনিষেধ শিথিল করায় আগামী বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল করবে। এ ক্ষেত্রে মাঝে যে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে তাও তুলে নেয়া হয়েছে।
রোববার (৮ আগস্ট) বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রেজাউল ইসলাম সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়েছে।
তবে সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক বাস চলাচল করতে পারবে। এখন প্রশ্ন উঠেছে কোন পরিবহনের কতটি বাস রয়েছে আর তার মধ্যে সড়কে কতটি নামানো হয়েছে তা গুনে তদারকি করবে কে?
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, সরকার মোট পরিবহনের অর্ধেক চলাচল করার কথা বলছে। কিন্তু কে গুনবে কোন পরিবহনের কয়টা বাস চলছে। এই বিষয়টা সংশ্লিষ্টদের ভাবা দরকার।
এদিকে, রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী বুধবার কমলাপুর থেকে আন্তঃনগর ট্রেন ৩৮ জোড়া এবং ২০ জোড়া মেইল বা কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। আগের দামেই অনলাইনে এবং কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন যাত্রীরা।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, সব আসনে যাত্রী পরিবহন করলেও মাস্ক ছাড়া কেউ ট্রেনে উঠতে পারবে না। যদি কেউ এই আইন লঙ্ঘন করে তাকে রেল আইনে জরিমানা করা হবে।
তবে ভাড়া কমানো নিয়ে ভিন্ন কথা বলছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সংস্থাটির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওই প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহনের কথা বলা হয়েছে। তাই আপাতত বর্ধিত ভাড়াই বহাল থাকবে। ভাড়া কমাতে হলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় নতুন করে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলার নির্দেশনা রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে গিয়ে আমরা যে ভাড়া বাড়িয়েছি সেটিই বহাল থাকবে। আমরা এখন পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তে আছি। ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করতে হলে তো নতুন করে একটি বৈঠক বা মিটিং করতে হবে। সে জন্য বলবো বর্ধিত ভাড়াই চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, লঞ্চে ভাড়া নির্ধারণ যে পদ্ধতিতে আছে সে হিসেবে কিছু আসন ফাঁকা থাকার কথা। কারণ ৩০ ভাগ আসন ফাঁকা রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন অবৈধটাকে বৈধ করা যাবে না।