ঢাকাঃ করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের মধ্যেও কোরবানির ঈদে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ও পশুর হাটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৫ জুলাই থেকে ২৩শে জুলাই পর্যন্ত চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তবে ঈদের পর ১৪ দিনের জন্য আবারও কঠোর বিধিনিষেধে যাচ্ছে দেশ।
সোমবার (১২ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে নথি অনুমোদিত হয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এসেছে। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি মিললেই যেকোনো সময় জারি হবে প্রজ্ঞাপন।
গরু ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকদের কথা চিন্তা করে চলমান বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
ঈদের সময় অর্থাৎ এই আট দিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক আসন ফাঁকা রেখে চলবে সকল গণপরিবহন। খুলে দেয়া হবে দোকানপাট শপিংমল। তবে সরকারি অফিস ভার্চুয়ালি খোলা থাকলেও বন্ধ থাকবে বেসরকারি অফিস। ১৫ই জুলাই ভোর ৬টা থেকে ২৩শে জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত এই আদেশ কার্যকর থাকবে।
এদিকে, নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে রবিবার ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় দেশে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬ হাজার ৪১৯ জনে। রবিবার করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৭৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তা প্রতিরোধে ১লা জুলাই থেকে সাত দিনের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে ৫ জুলাই আরেক দফায় চলমান কঠোর বিধি-নিষেধের মেয়াদ ১৪ই জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। জরুরি পন্য পরিবহণ ছাড়া সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন বন্ধ থাকলেও টিকার কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। বিধিনিষেধের সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানায় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সঙ্গে মাঠে থাকছে সেনাবাহিনীও।