Dr. Neem on Daraz
Victory Day

শিল্প উদ্যোক্তাদের সমস্যা সমাধানে সমন্বিত নীতিমালা


আগামী নিউজ | ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২০, ১২:৩৮ পিএম
শিল্প উদ্যোক্তাদের সমস্যা সমাধানে সমন্বিত নীতিমালা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, করোনার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প উদ্যোক্তাদের সমস্যা সমাধানে একটি সমন্বিত নীতিমালা গ্রহণ করা হবে। এর আলোকে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এ নীতিমালা প্রণয়নে তিনি বেসরকারিখাত ও থিংক- ট্যাংকের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করেন।

গত বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিটিজেন্স প্লাটফর্ম ফর এসডিজিস, বাংলাদেশ এবং বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভলপমেন্ট এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “করোনা পরবর্তী কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অবস্থা এবং প্রণোদনা প্যাকেজের কার্যকারীতা ” শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল নীতি সংলাপে শিল্পমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের চাকা সচল রেখে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরুতেই বিশাল প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এর কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য তিনি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের পরামর্শ দেন। তিনি বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে কো-লেটারেল এর বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়ে সিএমএসএমইখাতের উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বিবেচনায় প্রণোদনার অর্থ মঞ্জুরের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানান।

কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য একটি সমন্বিত সংজ্ঞা নির্ধারণ করার দাবিকে অত্যন্ত যৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশন এ ধরণের একটি সমন্বিত ডাটাবেজ তৈরি করবে। এর মাধ্যমে দেশে প্রকৃত শিল্প উদ্যোক্তার সংখ্যা নির্ধারণ এবং প্রণোদনার অর্থ ছাড় সহজ হবে।

সংলাপে বক্তারা করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় শিল্পখাতের জন্য সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য জরুরিভিত্তিতে একটি সমন্বিত ডাটাবেজ গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, ইলেক্ট্রনিক প্রক্রিয়ায় ছাড়কৃত ঋণের তথ্য সংযুক্ত করে এ ডাটাবেজকে সমৃদ্ধ করা সম্ভব। এর পাশাপাশি তারা কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (সিএমএসএমই) জন্য একটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা নির্ধারণ এবং এ খাতে প্রণোদনার অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে কো-লেটারেল এর বাধ্যবাধকতা রদ করে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির পরামর্শ দেন।

 সিপিডি’র সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিল্ডের চেয়ারপারসন আবুল কাশেম খান। এতে সিপিডি’র সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, এমসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি সৈয়দ আসিফ ইব্রাহীম, অধ্যাপক ড.মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বগুড়ার হালকা প্রকৌশল উদ্যোক্তা হারুনুর রশিদ, নারী উদ্যোক্তা হুমায়রা চৌধুরী, রংপুর উইম্যান্স চেম্বারের সভাপতি আনোয়ারা ফেরদৌসি, আইটি উদ্যোক্তা সৈয়দ আলমাস কবির, ব্র্যাক ব্যাংকের এসএমই বিভাগের প্রধান সৈয়দ আব্দুল মোমেনসহ কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা আলোচনায় অংশ নেন।

আগামীনিউজ/মিথুন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে