ঢাকাঃ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবে আলম।
আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে আজ সোমবার (২৮সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের পেশ ইমাম আবু সালেহ মো. সলিম উল্লাহ জানাজায় ইমামতি করেন।
জানাজায় অংশ নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ও হাইকোর্টের বিচারপতিরা। এছাড়া আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকার পুলিশ কমিশনার জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা শেষে মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে রাখা হয়। সেখানে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আইনজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা। পরে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
প্রসঙ্গত, জ্বর ও গলাব্যথা নিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হন রাষ্ট্রের প্রধান এ আইন কর্মকর্তা। ওই দিনই করোনা পরীক্ষা করলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গত (১৯ সেপ্টেম্বর) শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
আজ সোমবার(২৮সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে তার মরদেহ আনা হয়।
মাহবুবে আলম ১৯৪৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার মৌছামান্দ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও ১৯৬৯ সালে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সুপ্রিম কোর্টের এ সিনিয়র আইনজীবী ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন। ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।
মাহবুবে আলম সুপ্রিম কোর্ট বারের ১৯৯৩-৯৪ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, সংবিধানের এয়োদশ ও ষোড়শ সংশোধনীসহ ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি করেন।
আগামীনিউজ/জেহিন